অল্পের জন্য রক্ষা পেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা

ফ্রান্সকে উদ্ধার করলেন এমবাপ্পে। ছবি: এএফপি
ফ্রান্সকে উদ্ধার করলেন এমবাপ্পে। ছবি: এএফপি
>প্রীতি ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ফ্রান্স। আইসল্যান্ডের হয়ে একটি করে গোল করেন বিয়ারনসন ও আরনসন। ফ্রান্সের দুই গোলের একটি আত্মঘাতী আরেকটি আসে এমবাপ্পের পা থেকে।

ফ্রান্সের তুলনায় আইসল্যান্ড পুঁচকে একটা দল। পরিসংখ্যান অন্তত সেটাই বলবে। দলটির সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এর আগে দেখা হয়েছিল ১২ বার। এর ৯ বারই জয়ের স্বাদ পেয়েছে ফরাসিরা। বাকি তিনটি ম্যাচে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল। বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সের মাঠে প্রীতি ম্যাচে আইসল্যান্ড ইতিহাস গড়তেই নেমেছিল। অল্পের জন্য পারেনি। একটু ঘুরিয়ে বললে—অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ফ্রান্স। শেষ মুহূর্তের নাটকে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দেশমের শিষ্যরা। অন্যদিকে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়টা অধরাই রয়ে গেল আইসল্যান্ডের।

ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকেরাই। তবে প্রথমার্ধে বলার মতো আক্রমণ করতে পারেনি একটিও। যে দু-একটি সুযোগ পেয়েছে সেগুলোও আইসল্যান্ডের দুর্বল রক্ষণের কারণে। যদিও সুযোগগুলো হেলায় পায়ে ঠেলে দিয়েছে তারকায় ঠাসা ফ্রান্স দলের খেলোয়াড়েরা। উল্টো ৩০ মিনিটে গোল হজম করে খেই হারিয়ে ফেলে পগবা-জিরু-গ্রিজমানরা। ফিনবোগাসনের পাস থেকে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান বিয়ারনসন।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে আরনসনের গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে অতিথিরা। সিগুরদসনের কর্নার কিক থেকে হেডে বল জালা জড়ান আরনসন। আইসল্যান্ডের সমর্থকেরা তখন ইতিহাস লেখার অপেক্ষায়। কিন্তু তাঁদের অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে দেন এমবাপ্পে। দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় গোল হজমের পর গ্রিজমানকে তুলে এমবাপ্পেকে মাঠে নামান দেশম। দেশম কেন এমবাপ্পের ওপর আস্থা রেখেছেন তার প্রমাণ তিনি মাঠেই রেখেছেন। এক এমবাপ্পের কাঁধে চড়েই সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। ৮৬ মিনিটে এমবাপ্পের শট আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে না পারলে ইয়োলফসনের বুকে লেগে বল জালে জড়ালে আত্মঘাতী গোল হজম করে বসে আইসল্যান্ড।
এক গোল পরিশোধ করে খেলায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল ফ্রান্স। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা যে টিকটিক করে জানাচ্ছিল সময় শেষ! ৮৮ মিনিটে আইসল্যান্ডের ডি বক্সে হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। ৯০ মিনিটে নিখুঁত পেনাল্টি শট থেকে দলকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে।