অ্যাকশন হিরো যখন রেফারি!

রেফারি হওয়ার আগে পেশাদার অভিনেতা ছিলেন আর্জেন্টাইন নেস্তর পিটানা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
রেফারি হওয়ার আগে পেশাদার অভিনেতা ছিলেন আর্জেন্টাইন নেস্তর পিটানা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
>

ফুটবলে রেফারিরা কখনো তারকার মর্যাদা পান না। তবে তিনি ব্যতিক্রম। আর্জেন্টিনার নেস্তর পিটানা রেফারি হওয়ার আগে ছিলেন পেশাদার অভিনেতা

রাশিয়া বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচের রেফারি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ফ্রান্স-উরুগুয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল ও ক্রোয়েশিয়া-ডেনমার্ক শেষ ষোলোর ম্যাচসহ এবার ৪টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ভাবছেন, রেফারিকে নিয়ে এত কথা বলার কী আছে? কারণ আছে বৈকি, মাঠে বাঁশি বাজানোই যে আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিটানার ধ্যানজ্ঞান ছিল, সেটি ভাবলে একদমই ভুল হবে। পিটানার পেশাদারি জীবনের শুরু হয়েছিল অভিনেতা হিসেবে।

৪৩ বছর বয়সী পিটানা ২০০৭ সালে ফিফার রেফারিং প্রশিক্ষণ শেষে পেশাদার রেফারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর আগে এই আর্জেন্টাইন অভিনেতা হিসেবে নাম কামিয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন ঘরানার ছবি ‘দ্য ফিউরি’তে অভিনয় করেন পিটানা।

২০১৪ বিশ্বকাপেও ৪টি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন পিটানা। যার মধ্যে ছিল জার্মানি-ফ্রান্সের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটিও। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে পিটানার। নিজের দেশ আর্জেন্টিনা শেষ ষোলোতে বিদায় নেওয়ায় এই সুযোগ মিলতে পারে তাঁর।

উরুগুয়ে ও ফ্রান্সের মধ্যকার শেষ আটের ম্যাচে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ায় অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। উরুগুয়ে আর্জেন্টিনারই প্রতিবেশী দেশ এবং সরাসরি প্রতিপক্ষ হওয়ার ফলে পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তার ওপর পিটানা পরিচালনা করেছেন এমন কোনো ম্যাচেই যে উরুগুয়ে জেতেনি। তবে এ রকম কিছুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেজ। ফ্রান্সের সঙ্গে হেরে শেষ আট থেকে বিদায়ের পর তাবারেজ বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণই কাকতালীয়। তিনি যেসব ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, সেগুলোর কোনোটিই হয়তো আমরা জিততে পারিনি, কিন্তু তিনি একজন ভালো রেফারি এবং এটাই শেষ কথা।’

তাবারেজের সমর্থন পেয়ে নিজের ওপর আস্থা আরও বাড়তেই পারে পিটানার। ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেলে রেফারিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিটা রাশিয়াতেই পেয়ে যাবেন একসময়ের পর্দা কাঁপানো অভিনেতা নেস্তর পিটানা।