আনচেলত্তির কৌশলেরও প্রশংসা করতে বললেন ক্রুস

গুরুর প্রশংসায় মেতেছেন ক্রুসছবি : রয়টার্স

রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা কোনটি?

কেউ বলবেন বেনজেমার গোল করা ও করানোর ক্ষমতা। কারওর আবার ভিনিসিয়ুসের অবিশ্বাস্য গতি আর ড্রিবলিংটা নজরে পড়বে। ক্রুস-মদরিচ-কাসেমিরোর মিডফিল্ড ত্রয়ীর ভূমিকাও অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে। কিন্তু কার্লো আনচেলত্তির নাম নেবেন কজন? কৌশলগত দিক দিয়ে আনচেলত্তির শ্রেষ্ঠত্বের কথা মনে হবে কজনের?

কার্লো আনচেলত্তি
ছবি : রয়টার্স

কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তি যেন বরাবরই একটু উপেক্ষিত। বছরের পর বছর ধরে পেপ গার্দিওলা, জোসে মরিনিও, ইয়ুর্গেন ক্লপ বা জিনেদিন জিদানদের নিয়ে যতটা মাতামাতি হয়, তাঁদের অনেক আগে থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা আনচেলত্তিকে নিয়ে সেরকমটা হয় না।

এটাই চোখে পড়েছে রিয়ালের জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে তাই কোচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ক্রুস।

টনি ক্রুস
ছবি : রয়টার্স

জেডিএফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই আক্ষেপের কথাই বলেছেন ক্রুস। শুধু আনচেলত্তিই নয়, নিজের সাবেক কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কেসের জন্যেও সহমর্মিতা ঝরেছে ক্রুসের কণ্ঠ থেকে, ‘ব্যাপারটা হতাশায় যে আনচেলত্তি আর হেইঙ্কেসের ড্রেসিংরুম সামলে রাখার ক্ষমতাটাকেই সবচেয়ে বেশি মূল্য দেওয়া হয়। আমার মনে হয় না এমনটা করা উচিত। শুনলে মনে হয় তাঁরা ফুটবলের কৌশল সম্পর্কে কিছুই জানেন না। হয়তো তাঁরা অত কঠিন পথে দলকে ফুটবল খেলান না, কিন্তু তাঁরা দলকে কীভাবে ফুটবল খেলাতে চান, সে বিষয়ে যথেষ্ট নিঃসন্দেহ। দল কীভাবে রক্ষণ সামলাবে, খেলবে ও আক্রমণ করবে, সে ব্যাপারে তাঁদের প্রত্যেকেরই সুস্পষ্ট ধারণা আছে। কিন্তু তাঁদের নিয়ে যখন কথা হয়, তখন মানুষ এসব ভুলে যায়।’

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আজ রাতের প্রতিপক্ষ লিভারপুলকে সেই ২০১৮ সালের ফাইনালেও হারিয়েছিলেন ক্রুসরা। পুরোনো শত্রুতাই আবারও জীবন্ত হয়ে উঠবে প্যারিসের মাঠে।

তবে এই লিভারপুলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে যথেষ্টই সমীহ করছেন ক্রুস, ‘সত্যি বলতে কি, ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের চেয়ে এই দল অনেক ভালো। ওরা অনেক উন্নতি করেছে। তাই দুই দলেরই জয়ের সম্ভাবনা ৫০-৫০।’