আবাহনীর হৃদয় ভাঙলেন আশরোরভ

শেষ মুহূর্তে জয় হাতছাড়া আবাহনীর (হলুদ জার্সি)।ছবি: প্রথম আলো

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে মাত্র মিনিটখানেক বাকি। ম্যাচে ১-০–তে এগিয়ে আবাহনী। জয়ের প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন আবাহনীর সমর্থকেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর জয় নিয়ে ফেরা হলো না আবাহনীর। প্রিমিয়ার লিগের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের হৃদয় ভেঙে আচমকা গোল করলেন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের ডিফেন্ডার সিওভুশ আশরোরভ। যেখানে পুরো ৩ পয়েন্ট নিয়েই ম্যাচ শেষ করার আশা ছিল আবাহনীর, উল্টো পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো তাদের। প্রিমিয়ার লিগে আজ আবাহনী ১-১ গোলে ড্র করেছে শেখ রাসেলের সঙ্গে। আবাহনীর গোলটি করেছেন সাদ উদ্দিন।

এই ড্রয়ে শিরোপাপ্রত্যাশী আবাহনী লিগ টেবিলে বেশ পিছিয়ে পড়ল বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে। ১০ ম্যাচে ৬ জয়, ৪ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আবাহনী। সমান ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। আর ৯ ম্যাচে ৫ জয়, ২ ড্র ও ২ হারে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চারেই রইল শেখ রাসেল।

সাদের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনী।
ছবি: প্রথম আলো

ম্যাচ শুরুর আগে বেলা তিনটায় ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাবের বোর্ড রুমে ফুটবলারদের নিয়ে বসেছিলেন কোচ মারিও লেমোস। গত ১৩ ফেব্রুয়ারির প্রিমিয়ার লিগের সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে শেখ রাসেলের ম্যাচটি নিয়েই কাটাছেঁড়া করেন কোচ। সন্ধ্যায় শুরু হওয়া শেখ রাসেলের বিপক্ষে যেন জয়টা তুলে নিতে পারেন ফুটবলাররা।
কিন্তু সন্ধ্যায় দৃশ্যপট ছিল পুরো উল্টো। বিকেলে যে কোচের মুখে ছিল হাসি, সন্ধ্যায় সেই চেহারায় হতাশার ছায়া। আর আবাহনীর গ্যালারি থেকে পুরোদস্তুর গালি বর্ষণ চলল ক্লাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে।

করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠে কালই প্রথম ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন শেখ রাসেল কোচ সাইফুল বারী। তাঁর উপস্থিতিতে দল যেন নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে। ১৭ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত শেখ রাসেল। নাইজেরিয়ান ওবে মোনেকের শট বারের অল্প ওপর দিয়ে চলে যায়। উল্টো ২৬ মিনিটে গোল করে প্রথম আবাহনীকে এগিয়ে নেন সাদ উদ্দিন। ডান প্রান্ত থেকে মাপা এক ক্রস শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলামের মাথার ওপর দিয়ে বল ঢোকে জালে। লিগে এটা সাদের প্রথম গোল। বিরতির পর গোল শোধে মরিয়া ছিল শেখ রাসেল। ৪৭ মিনিটে বখতিয়ারের ফ্রি–কিক থেকে ওবে মোনেকের হেড ক্রসবারে লেগে ফেরে। আর ৬৩ মিনিটে আবদুল্লাহর ভলি ঠেকিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর পারেননি এই গোলরক্ষক। ডান প্রান্ত থেকে খালেকুজ্জামানের ফ্রি–কিক, হেডে গোল করেন আশরোরভ।