‘আমি না থাকলে আর্জেন্টিনা দলে মেসিরও থাকার যোগ্যতা নেই’

মেসি জাতীয় দলে ডাক পেলেও, পাচ্ছেন না দি মারিয়াছবি : রয়টার্স

মোটামুটি পরিচিত সব নামই জায়গা করে নিয়েছেন আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচের জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনার প্রাথমিক দলে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে আগামী ৮ ও ১৩ অক্টোবর যথাক্রমে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে লড়বেন লিওনেল মেসিরা।

তবে, নিয়মিত মুখগুলোর মধ্যে দলে নেই মেসির দুই ‘প্রিয় বন্ধু’ পিএসজির মিডফিল্ডার আনহেল দি মারিয়া ও ম্যানচেস্টার সিটির সার্জিও আগুয়েরো। আগুয়েরোর হাঁটুর চোট। অস্ত্রোপচারের আশ্রয় নিতে হবে এ তারকাকে, তাই দলে জায়গা পাননি। ওদিকে সদ্য করোনা থেকে ফিরে এসে দাপটের সঙ্গে পিএসজির হয়ে খেলে যাওয়া দি মারিয়া কেন ডাক পাননি, কেউ জানে না।

জানেন না খোদ দি মারিয়াও, 'আমি এর ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছি না (জাতীয় দলে ডাক না পাওয়ার)। আমার বলার ভাষা নেই কোনো। কেউ কেউ বলছে আমার বয়স ৩২ হয়ে গিয়েছে, আমি বুড়িয়ে গেছি, তাই আমাকে দলে ডাকা হয়নি। কিন্তু আমি তো এখনো আগের মতো দৌড়ে যাই। একই ভাবে খেলি, আমার প্রতি ম্যাচ দেখলেই সেটা বোঝা যায়।'

তাঁকে না ডেকে মেসিকে কীভাবে জাতীয় দলে ডাকা হয়, বোঝেন না দি মারিয়া।
ছবি : এএফপি

সুস্থ থাকা সত্ত্বেও কেন ডাকা হয়নি তাঁকে, বুঝতে পারছেন না দি মারিয়া। ক্লস কন্তিনেন্তালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'পিএসজি আমাকে জাতীয় দলে খেলার জন্য সব রকম সুযোগ করে দেয়। তাই আমার বুঝতে অনেক কষ্ট হচ্ছে, যে সুস্থা থাকার পরেও কেন আমাকে ডাকা হচ্ছে না। তাঁরা যেহেতু আমাকে ডাকছে না, তার একটাই অর্থ হতে পারে, তাঁরা আমাকে চায় না দলে। তাও আমি জায়গা পাওয়ার জন্য লড়ে যাব।'

দি মারিয়ার ভাষ্যমতে, বয়সের দোহাই দিয়ে যদি তাঁকে দলে ডাকা না হয়, তাহলে লিওনেল মেসিকেও ডাকা উচিত না, '৩২ বছর বয়সেই আমি বুড়ো? ৩২ বছর বয়সেই যদি সবার বিকল্প খোঁজা শুরু হয় তাহলে সেটা সবার ক্ষেত্রেই করা হোক। মেসি, ওতামেন্দি— আরও যারা এই বয়সে শীর্ষ পর্যায়ে খেলে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রেও করা হোক। আমি দলে না থাকলে তাদেরও এ কারণে থাকা উচিত না।'


এই বয়সেও ক্লাব সতীর্থ নেইমার-এমবাপ্পেদের মতো খেলে যেতে পারেন বলে দাবি করেছেন দি মারিয়া, 'প্রতি খেলায় আমি দেখাই যে আমি নেইমার ও এমবাপ্পের কাতারে থাকার যোগ্যতা রাখি।'