আরামবাগের জালে আরও ৪ গোল

আজ উদ্‌যাপনের অনেক সুযোগ পেয়েছে আবাহনী।
ছবি: বাফুফে

আগের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল আবাহনী। ওই ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর হতাশা ভুলে পরের ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। আজ মুন্সিগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আবাহনী ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আরামবাগকে। আবাহনীর হয়ে জোড়া গোল করেছেন ফ্রান্সিসকো তোরেস। একটি করে গোল করেছেন মাসিহ সাইগানি ও দীপক রায়।

এই জয়ে লিগ টেবিলে আবারও দুইয়ে উঠে এল আবাহনী। ৮ ম্যাচে ৫ জয়, ৩ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট আবাহনীর। সমান ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। অবশ্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে শেখ জামালের সঙ্গে বসুন্ধরা কিংসের গোলশূন্য ড্রয়ে বেশ লাভ হয়েছে আবাহনীর। বসুন্ধরার সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৪-এ।

দুর্বল আরামবাগের বিপক্ষে আবাহনীর জয়টা অনুমিতই ছিল। তবে কত বড় ব্যবধানে জেতে আবাহনী, সেটাই ছিল দেখার। আরামবাগ এ পর্যন্ত ৭টি ম্যাচ খেলেছে। সব কটিই হেরেছে। ৭ ম্যাচে এ পর্যন্ত ২২টি গোল হজম করেছে আরামবাগ। ভাগ্যবদলের আশায় আরামবাগ নিয়ে এসেছে ব্রাজিলিয়ান কোচ ডগলাস সিলভাকে। কিন্তু তাতেও পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান বদলাতে পারেনি আরামবাগ।

আগের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় আজ খেলতে পারেননি আবাহনীর মিডফিল্ডার জুয়েল রানা। চোটের কারণে গত কিছুদিন দর্শক স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন। কারভেন্স বেলফোর্টও চোটের কারণে আজ খেলতে পারেননি। তারপরও গোল পেতে কোনো সমস্যা হয়নি আবাহনীর।

দুই গোল করেছেন ফ্রান্সিসকো।
ছবি: বাফুফে

৩১ মিনিটে ফ্রান্সিসকো তোরেসের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় আবাহনী। ৪৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়েছে তোরেসের গোলেই। লিগে এটি তোরেসের চতুর্থ গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দাপুটে আবাহনীকে দেখেছে দর্শকেরা। ম্যাচের ৬০ মিনিটে মাসিহ সাইগানি করেছেন তৃতীয় গোল। আরামবাগের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছেন তরুণ ফরোয়ার্ড দীপক রায়। লিগে এটি তাঁর দ্বিতীয় ম্যাচ। কোচ মারিও লেমোস এর আগে প্রথম তাঁকে নামিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে গত ৫ ফেব্রুয়ারি। ওই ম্যাচে বদলি নেমেই গোল করেছিলেন। আজও গোল পেয়েছেন দীপক।