লিওনেল মেসি কি প্রথম একাদশে থাকবেন? নেইমার-সুয়ারেজের জোড়া ফলা আরও একবার ঝলসে উঠবে? করিম বেনজেমা কি মাঠে নামতে পারবেন? আগামীকালের এল ক্লাসিকোর আগে এসব নিয়েই চায়ের কাপে ঝড় ওঠার কথা। কিন্তু এসব ছাপিয়ে এখন নিরাপত্তাই যেন প্রধান আলোচ্য হয়ে উঠেছে।
বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের দ্বৈরথ মানেই রোমাঞ্চের অনিঃশেষ হাতছানি। কিন্তু এবার সেই রোমাঞ্চের পাশে উঠছে আতঙ্কেরও বুদ্বুদ। গত সপ্তাহে প্যারিসের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ইউরোপজুড়েই একরকম সন্ত্রস্ত অবস্থা। ফুটবল-বিশ্বেও সেই আঁচ লেগেছে, এরই মধ্যে বেলজিয়াম-স্পেন ও জার্মানি-হল্যান্ড প্রীতি ম্যাচ দুটি বাতিল হয়ে গেছে নিরাপত্তাশঙ্কায়। এল ক্লাসিকোর আগে মাদ্রিদে তাই নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা।
এ ম্যাচ দেখতে বার্নাব্যুতে প্রায় ৮১ হাজার দর্শক আসবে বলে ধারণা। তিন স্তরের নিরাপত্তা পেরিয়ে তাদের ঢুকতে হবে মাঠে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহতল্লাশি করা হবে দর্শকদের। স্যান্ডউইচ পর্যন্ত পরীক্ষা করে দেখবে স্প্যানিশ পুলিশ। শুধু স্টেডিয়ামের আশপাশেই থাকবে ১৫০০ পুলিশ। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি যাকে বলে, সেটাই দেখবে বার্নাব্যু। স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্হে ফার্নান্দেজ ডিয়াজ জানিয়েছেন, শুধু মাঠে ঢোকার মুখে নয়, আশপাশের এলাকাজুড়ে এমনকি মাঠে আসা দর্শকদের বাহনেও পরীক্ষা করা হবে।
বার্নাব্যু অবশ্য আগেও সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে পড়েছে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেদিন রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে খেলছিল রিয়াল সোসিয়েদাদ। হুমকির মুখে খালি করে দেওয়া হয়েছিল গ্যালারি। ওই ঘটনার দুই মাস আগে মাদ্রিদে ট্রেনে বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৯১ জন।
এর দুই বছর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল-বার্সার একটা ম্যাচেও হামলা হয়েছিল। স্টেডিয়ামের বাইরে একটি গাড়িতে রেখে যাওয়া বাস্ক উগ্রপন্থীদের বোমায় মারা গিয়েছিলেন ১৭ জন। তাতেও অবশ্য ম্যাচটি বন্ধ করা হয়নি।
ও হ্যাঁ, নিরাপত্তার ডামাডোলে একটা ব্যাপার অনেকেরই হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে। ১৫ বছর পর এই প্রথম এল ক্লাসিকোতে থাকছেন না ক্যাসিয়াস বা জাভিদের কেউ! এএফপি, মার্কা।