আশরাফুলের শেষ মিনিটের গোলে শেখ রাসেলের জয়

নাটকীয় এক জয় পেয়েছে শেখ রাসেলবাফুফে

পুরো ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ করে গেছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ফুটবলাররা। কখনো মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, কখনো ওবি মনেকে, জিয়ানকার্লো লোপেজ রদ্রিগেজ। সবাই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে গোলটাই যেন ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠেছিল শেখ রাসেলের। ম্যাচের নিয়তি যখন ড্রতেই মেনে নিচ্ছিল সবাই, ঠিক সেই সময়ে শেষ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শট নিলেন শেখ রাসেল ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ আশরাফুল। ব্রাদার্সের যে গোলরক্ষক জাফর সর্দার এতক্ষণ চীনের প্রাচীর হয়ে লড়লেন, শেষ মিনিটে আর সেটি আটকাতে পারলেন না!
হতাশায় জাফর যখন মাটিতে শুয়ে পড়েছেন, তখন আশরাফুলকে ঘিরে শুরু হয়ে গেছে শেখ রাসেলের ফুটবলারদের আনন্দ নৃত্য! কে জানত এমন রোমাঞ্চভরা ম্যাচে পুরো ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারবে শেখ রাসেল!

প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকা ব্রাদার্স মধ্যবর্তী দলবদলে পুরো দলের খোলনলচেই বদলে ফেলেছে। উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার ফুরকাত জনকে ছাড়া সব বিদেশিকে ছেড়ে দিয়েছে ব্রাদার্স। নতুন করে দলে নিয়েছেন ১১ জন স্থানীয় ফুটবলার। এর মধ্যে আছেন আতিকুর রহমান মিশু, জাহিদ হাসান এমিলি, ইমতিয়াজ জিতু, আরিফুল ইসলামরা।

শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে গেছে ব্রাদার্স
বাফুফে


এই দলটা নিয়ে কাল অবশ্য দারুণ লড়াই করেছে ব্রাদার্স। রক্ষণ আগলে আক্রমণে ওঠার কৌশল ছিল কমলা দলের। আর সেই তুলনায় বারবার আক্রমণে ওঠে শেখ রাসেল। কিন্তু তাদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগেজ অন্তত গোটা পাঁচেক নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেছেন। তবে ৬৩ মিনিটে অবশ্য ব্রাদার্স একবার সুযোগ পেয়েছিল গোলের। আওয়ালা মাগালান শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার ইয়ামিন মুন্নাকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকেও নিলেন দুর্বল শট। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে অতিরিক্ত গরম ও ক্লান্তি ভর করে ব্রাদার্সের ফুটবলারদের মধ্যে। সেই সুযোগটি ভালোমতো কাজে লাগিয়েছে শেখ রাসেল। যোগ হওয়া সময়ে লোপেজের ক্রস থেকে বল পড়ে বক্সের সামনে। আশরাফুল মুহূর্তেই নিলেন পোস্টে জোরালো শট। ওই গোলেই জয় নিশ্চিত হলো শেখ রাসেলের।
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠল শেখ রাসেল। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ দলের মধ্যে ১২তম স্থানে ব্রাদার্স।