দেনার মধ্যেও বার্সার ৭ হাজার ৩০০ কোটি আয়ের সুখ

আয়ের দিক দিয়ে সব ক্লাবের ওপরে মেসিরা।
ছবি: রয়টার্স

টাকাপয়সা নিয়ে বার্সেলোনার সমস্যা বেশ অনেক দিনেরই। এমন নয় যে দলটা আয় করছে না, কিন্তু দেনার অঙ্কটা দিন দিন বেড়েই চলেছে তাদের। বেড়ে চলা দেনার মাত্রা সামলাতে না পেরে সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ দায়িত্ব ছেড়েছেন। অবস্থা এখন এমন যে নতুন খেলোয়াড় কেনাই সমস্যা তাদের। এমনকি গত কয়েক বছরে নতুন যেসব খেলোয়াড় এনেছে তারা, সবাইকে এনেছে বাড়তি দামে, বাড়তি বেতনে। ফলে, অনেকটা দেউলিয়াত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে একপশলা শান্তির সুবাতাস এনে দিল একটি সুসংবাদ।

পেশাদার সার্ভিসেস ফার্ম ডেলোয়েট স্পোর্ট বিজনেস গ্রুপের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ মৌসুমের সবচেয়ে বেশি আয় করা ক্লাব বার্সেলোনা। করোনাকালে আয়-উপার্জনের দিক দিয়ে প্রতিটি ক্লাবই ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এর মধ্যেই সবাইকে টেক্কা দিতে পেরেছে বার্সেলোনা।

জরিপ অনুযায়ী, এই সময়ে বার্সেলোনা আয় করেছে ৬২৭ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৬২ কোটি ৭১ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি হিসাবে প্রায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ অবশ্য তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে। তাদের আয় ৬২ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড। অর্থাৎ মাত্র এক লাখ পাউন্ডের জন্য শীর্ষস্থান হাতছাড়া হয়েছে রামোস-বেনজেমাদের ক্লাবের।

দেনার ভারে জর্জরিত বার্সেলোনা একটা সুখবর অন্তত পেল।
ছবি: এএফপি

তৃতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ আবার বেশ যথেষ্ট পিছিয়েই আছে। তাদের আয় ৫৫ কোটি ৬১ লাখ পাউন্ডের মতো। এরপর একে একে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজি, চেলসি, টটেনহাম হটস্পার, জুভেন্টাস, আর্সেনাল, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মতো ক্লাবগুলো।

সব মিলিয়ে ডেলোয়েট স্পোর্ট বিজনেস গ্রুপ অনুমান করেছে, করোনার ধাক্কায় ২০২০-২১ মৌসুম শেষে সেরা ২০ ধনী ক্লাবের সম্মিলিত আয় কমবে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ডের মতো। সব মিলিয়ে ২০ ক্লাবের আয় কমেছে প্রায় ১২ শতাংশের মতো। কোভিড-১৯–এর কারণে সম্প্রচার স্বত্ব, ম্যাচের দিন টিকিট বিক্রির টাকা ইত্যাদি না আসার কারণেই আয়ের এই কমতি।

এদিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। এই প্রথমবারের মতো এ তালিকার শীর্ষ তিনে থাকতে পারেনি তারা। কারণ, করোনাকালের আর্থিক সমস্যা তো রয়েছেই, সঙ্গে ২০১৯-২০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে না খেলতে পারারও প্রভাব রয়েছে। তাদের আয় কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। ৫০ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড আয় নিয়ে তারা আছে এই তালিকার চতুর্থ স্থানে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক তালিকাটি—

১. বার্সেলোনা-৬২ কোটি ৭১ লাখ পাউন্ড

২. রিয়াল মাদ্রিদ-৬২ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড

৩. বায়ার্ন মিউনিখ-৫৫ কোটি ৬১ লাখ পাউন্ড

৪. ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-৫০ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড

৫. লিভারপুল-৪৮ কোটি ৯৯ লাখ পাউন্ড

৬. ম্যানচেস্টার সিটি-৪৮ কোটি ১৬ লাখ পাউন্ড

৭. পিএসজি-৪৭ কোটি ৪১ লাখ পাউন্ড

৮. চেলসি-৪১ কোটি ১৯ লাখ পাউন্ড

৯. টটেনহাম হটস্পার-৩৯ কোটি ৯ লাখ পাউন্ড

১০. জুভেন্টাস-৩৪ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড

১১. আর্সেনাল-৩৪ কোটি ৩ লাখ পাউন্ড

১২. বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-৩২ কোটি ৭ লাখ পাউন্ড

১৩. আতলেতিকো মাদ্রিদ-২৯ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড

১৪. ইন্টার মিলান-২৫ কোটি ৫৬ লাখ পাউন্ড

১৫. জেনিত সেইন্ট পিটার্সবার্গ-২০ কোটি ৭৪ লাখ পাউন্ড

১৬. শালকে ০৪-১৯ কোটি ৫৪ লাখ পাউন্ড

১৭. এভারটন-১৮ কোটি ৫৯ লাখ পাউন্ড

১৮. অলিম্পিক লিওঁ-১৫ কোটি ৮৫ লাখ পাউন্ড

১৯. নাপোলি-১৫ কোটি ৪৬ লাখ পাউন্ড

২০. আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট-১৫ কোটি ২৬ লাখ পাউন্ড