ইউরোপিয়ান কাপের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চান সালাউদ্দিন

আজ টানা চতুর্থবারের মতো সাফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিনছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদটাও সমান্তরালভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন কাজী সালাউদ্দিন।

আজ টানা চতুর্থবারের মতো সাফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক তারকা এই ফুটবলার। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাজী সালাউদ্দিনের সভাপতি হওয়াটা নিশ্চিতই ছিল। আজ বিকেলে ঢাকার পাঁচ তারকা এক হোটেলে সাফের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে পড়েছে সে সিলমোহর।

২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরের বছরই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাফের সভাপতি হন কাজী সালাউদ্দিন। এবার নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাফের সভাপতি পদটা ধরে রাখলেন তিনি। ফলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাঁর হাতেই থাকছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল।

আজকের সাফের সভায় ভারত ও পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। কাল পাকিস্তানের ওপর থেকে ফিফা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও দ্রুত ভিসা না পাওয়ায় তাদের ফেডারেশন থেকে কেউ যোগ দিতে পারেননি। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ওপর ফিফার চোখ রাঙানি থাকায় সে দেশটি থেকেও ছিল না কোনো প্রতিনিধি।

সাফ কংগ্রেস চলাকালীন একটি মুহূর্তে
ছবি: সংগৃহীত

সাফের সাত সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে দুটি সহসভাপতি পদসহ মোট চারটি পদ আপাতত ফাঁকা থাকছে। আগামী কংগ্রেসে যা পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে সাফ।
বাফুফে সভাপতি হিসেবে সালাউদ্দিনের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সাফের সভাপতি হিসেবে ভালো সময় কাটাচ্ছেন, এ কথা বলাই যায়।

বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে মূল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি আসরই নিয়মিত হচ্ছে। যেটা অনেকবার ঘোষণা দিয়েও মাঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেই ক্লাব কাপটা এবার করে দেখাতে চান সালাউদ্দিন, ‘টানা চতুর্থবারের মতো সভাপতি হয়ে আমি কৃতজ্ঞ। আমি যখন প্রথম সভাপতি হয়েছিলাম, তখন প্রতিবছর একটা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। এখন প্রতিবছরে ৬টা টুর্নামেন্ট হয়।

যেটা অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি, সেটা হলো ইউরোপিয়ান কাপের মতো ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।’ ২০২৪ সালে কোনো এক ফিফা উইন্ডোতে টুর্নামেন্টটি করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের সাত চ্যাম্পিয়ন ক্লাবকে নিয়ে ২০২৪ সালে ক্লাব কাপটি করতে চায় সাফ। সেটা হবে হোম অর অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতির সঙ্গে সবাই পরিচিত থাকলেও হোম অর অ্যাওয়ে পদ্ধতিটা কিছুটা অপরিচিত।

সিঙ্গেল রাউন্ড পদ্ধতিতে একটা দল ছয়টা করে ম্যাচ খেলবে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দল হবে চ্যাম্পিয়ন। একটি দল ছয় ম্যাচের মধ্যে তিনটা ম্যাচ হোম আর বাকি তিনটি ম্যাচ খেলবে অ্যাওয়েতে। অর্থাৎ ফিরতি লেগের কোনো ব্যাপার নেই।

কংগ্রেস শেষে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সাফের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

একই ফরম্যাটে আগামী বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও আয়োজন করতে চায় সাফ। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেছেন, ‘আমাদের মার্কেটিং কোম্পানির প্রস্তাবনা অনুযায়ী আগামী বছর থেকে সাফটা হোম অর অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

জুন বা জুলাইয়ে এক মাস সময় নিয়ে টুর্নামেন্টটা আয়োজন করতে চায়। সদস্যদেশগুলো এ ব্যাপারটি ভালোভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছে।’