ইউরোয় বেলের ‘কাঁচা–পাকা’ ইতিহাস

তুরষ্কের বিপক্ষে কাল দারুণ খেলেন গ্যারেথ বেল। ওয়েলসের গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর উদযাপন।ছবি: রয়টার্স

খেলাধুলায় ইতিহাস তো কত রকমই হয়। তবে কিছু ইতিহাস রয়েছে, যা এর আগে কেউ গড়েননি। অন্য কেউ সেই ইতিহাসকে টপকে যাওয়ার আগপর্যন্ত তা পাকা, এমন তো বলাই যায়! ইউরোয় কাল তুরস্কের বিপক্ষে এমন এক পাকা ইতিহাসই গড়েছেন ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেল।

তুরস্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে টেবিলের দুইয়ে রয়েছে ওয়েলস। বেলের গড়ে দেওয়া পাস থেকে দুটি গোল পেয়েছে ওয়েলস। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে টটেনহাম হটস্পারসে ধারে খেলা এই উইঙ্গার পেনাল্টি মিস না করলে ওয়েলসের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ত।

তাতে অবশ্য বেলের ঝলকে এতটুকু কালিমা লাগেনি। কাল ওয়েলসের ম্যাচটি ছিল আসলে বেলময়, যেখানে নতুন ইতিহাসের ঘণ্টা বা ‘বেল’ বাজিয়েছেন গ্যারেথ বেল।

৪২ মিনিটে বেলের চোখধাঁধানো পাস থেকে ওয়েলসের হয়ে প্রথম গোলটি করেন অ্যারন রামসি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কনর রবার্টসের গোলটিও এসেছে তাঁর পাস থেকেই।

এর বাইরেও গোলের আরও কয়েকটি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করেছিলেন বেল, ফুটবলীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কি পাস’, আর তাতেই ইউরোয় দেখা গেল নতুন ইতিহাস। এই টুর্নামেন্টের নানা রকম তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করা হয় ১৯৮০ সাল থেকে।

ওয়েলসের জয়ের পর সতীর্থদের সঙ্গে গ্যারেথ বেল।
ছবি: রয়টার্স

খেলাধুলার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করা ‘অপটা’র হিসাব অনুযায়ী, তুরস্কের বিপক্ষে এমন পাঁচটি ‘কি পাস’ বা গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করা পাস দিয়েছেন বেল। ইউরোর ইতিহাসে এক ম্যাচে এর আগে কোনো খেলোয়াড় এতগুলো ‘কি পাস’ দেননি, বেল তা করে ইতিহাস নতুনভাবে লেখালেন।

সব মিলিয়ে মোট সাতটি সুযোগ তৈরি করেছেন বেল। দুটি গোলের উৎস হওয়ার পাশাপাশি একটি পেনাল্টিও আদায় করেন তিনি। এই স্পটকিক উড়িয়ে মেরেও রাউল গঞ্জালেসের এক অনাকাঙ্ক্ষিত স্মৃতি ফিরিয়েছেন ওয়েলস তারকা।

পেনাল্টিতে বল গোলপোস্টের বাইরে মারেন বেল।
ছবি: রয়টার্স

পেনাল্টিতে বেলের নেওয়া শটটি তুরস্কের গোলপোস্ট বরাবর ছিল না। গত ২১ বছরের মধ্যে ইউরোয় প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পেনাল্টিতে নেওয়া শট গোলপোস্টে রাখতে পারেননি বেল। সর্বশেষ তা দেখা গেছে ২০০০ ইউরোয় স্পেন-ফ্রান্স ম্যাচে—পেনাল্টিতে গোলপোস্টের বাইরে শট নিয়েছিলেন স্পেনের সাবেক স্ট্রাইকার রাউল।

তাহলে বেলের পেনাল্টি মিস করা তো ‘কাঁচা’ ইতিহাস? তুরস্কের বিপক্ষে ম্যাচে তাহলে বেলের কাঁচা-পাকা ইতিহাস—দুটিই দেখা গেল!