ইনজাগিকে এনে কন্তের শূন্যতা পূরণ করল ইন্টার

ইন্টার মিলানের নতুন কোচ সিমোনে ইনজাগি।ছবি: এএফপি

এই মৌসুমে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ জিতিয়ে ইন্টার মিলানের দায়িত্ব ছাড়েন আন্তনিও কন্তে। সাত দিনের মাথায় তাঁর শূন্যতা পূরণ করল ইন্টার ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দ্বী লাৎসিওর ‘ঘরের ছেলে’ হয়ে যাওয়া সিমোনে ইনজাগির কাঁধে কোচের দায়িত্ব তুলে দিয়ে।

আজ এক বিবৃতিতে সিমোনে ইনজাগিকে নতুন কোচ হিসেবে বেছে নেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে লিগ চ্যাম্পিয়নরা। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে লাৎসিওতে ২২ বছর থাকা ইনজাগি গত সপ্তাহে ক্লাবটির কোচের দায়িত্ব ছাড়েন।

খেলোয়াড় হিসেবে লাৎসিওর হয়ে লিগ ও উয়েফা কাপ জিতেছিলেন সিমোনে ইনজাগি। কিন্তু তাদের কোচ হিসেবে ঘরোয়া লিগ জেতাতে পারেননি। কোপা ইতালিয়া ও সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতিয়েছেন।

তাঁকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে ইন্টারের বিবৃতি, ‘মূল দলের কোচ হিসেবে সিমোনে ইনজাগিকে স্বাগত জানাচ্ছে ইন্টার। নেরাজ্জুরিদের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছেন এই ইতালিয়ান কোচ।’ এসি মিলান কিংবদন্তি ও ইতালির হয়ে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার ‘সুপারপিপ্পো’খ্যাত ফিলিপ্পো ইনজাগির ছোট ভাই সিমোনে ইনজাগি।

ইন্টারকে লিগ জিতিয়ে কোচের দায়িত্ব ছাড়েন আন্তনিও কন্তে।
ছবি: টুইটার

২০১০ সালের পর ইন্টারকে এবারই প্রথম ঘরোয়া লিগ জিতিয়ে কোচের দায়িত্ব ছাড়েন কন্তে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ক্লাবের বাজেট কর্তন ও বিনিয়োগ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে না পেরে কোচের দায়িত্ব ছাড়েন কন্তে—তখন জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম।

সিমোনে ১৯৯৯ সালে লাৎসিওতে খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দেন। অবসর নেওয়ার পর ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দলের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে মূল কোচ হওয়ার পর কম বাজেট নিয়েই তিনটি শিরোপার মুখ দেখেন ইতালির হয়ে ৩ ম্যাচ খেলা সাবেক এ স্ট্রাইকার।

আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসা লাৎসিও কোচের দায়িত্ব নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে চলে যাওয়ার পর ২০১৬–১৭ মৌসুমে ক্লাবটির দায়িত্ব নেন তিনি।

লাৎসিওকে তখন ১৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে ফিরিয়ে আনেন ইনজাগি। এ ছাড়াও ২০০১ সালের পর প্রথমবারের মতো ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় তুলেছিলেন তিনি।

তবে লাৎসিও থেকে ইনজাগির চলে যাওয়ার ধরন নিশ্চিতভাবেই ভালো লাগেনি সমর্থকদের। চুক্তি নবায়নে সম্মত হয়েও লাৎসিও ছাড়েন তিনি। লাৎসিও সভাপতি ক্লদিও লোতিতোর ভাষায়, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কষ্ট পেয়েছি। রাতে নেওয়া সিদ্ধান্ত সে সকালেই পাল্টে ফেলেছিল।’