উলভসকে উড়িয়েই হরলান্ডের সুখচিন্তা গার্দিওলার
আর্লিং হরলান্ড আসার পর দলটাকে ভেবে এখনই প্রশান্তিতে মন ভরে উঠছে কোচ পেপ গার্দিওলার। রাতে উলভসকে ৫–১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গার্দিওলার কল্পনা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে আসা হালের স্ট্রাইকিং সেনসেশনকে নিয়ে।
এরই মধ্যে সব কিছু পাকা হয়ে গেছে। ৫১ মিলিয়ন ইউরোতে ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। উলভের বিপক্ষে কেভিন ডি ব্রুইনা যা দেখালেন, তার পর হরলান্ডকে নিয়ে সুখ কল্পনা হতেই সিটি কোচের। সমর্থকেরা তো এরই মধ্যে ভাবা শুরু করেছেন হরলান্ডকে নিয়ে তাদের প্রিয় দলটা কতটা ভয়ংকর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। হরলান্ড এলে অনেক দিন পর সিটি সের্হিও আগুয়েরোর পর একজন পরিপূর্ণ স্ট্রাইকারকে দলে দেখবে।
উলভসের বিপক্ষে ২৪ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন ডি ব্রুইনা। অন্য গোলটি রাহিম স্টার্লিংয়ের। প্রিমিয়ার লিগের শেষ পাঁচটি ম্যাচে সিটির গোল দাঁড়াল ২২। তবে এত কিছুর পরেও কোচ গার্দিওলা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। উলভসকে আরও বড় ব্যবধানে হারানো যেত, গোলের সুযোগ যে অনেক গুলোই নষ্ট করেছে তাঁর ফরোয়ার্ডরা।
লিভারপুলের চেয়ে তিন পয়েন্ট এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। গোল ব্যবধানেও লিভারপুলের চেয়ে এগিয়ে সিটি। দুই দলের মধ্যে গোলের ব্যবধান ৭।
উলভস ম্যাচের পর হরলান্ডকে নিয়েই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো গার্দিওলাকে। একটা প্রশ্ন ছিল উলভসের বিপক্ষে ৫–১ গোলে জয়ের ম্যাচেই যদি হরলান্ডকে পাওয়া যেত, তাহলে গোল ব্যবধানটা কত হতো। গার্দিওলা উত্তর দিয়েছেন নিজের মতো করেই, ‘অবশ্যই হরলান্ড থাকলে আরও গোল হতো। এক্ষেত্রে আমি ক্লাবকে অভিনন্দন জানাব হরলান্ডকে নেওয়ার জন্য। অবশ্যই সে আগামী মৌসুম থেকে খেলবে। আমরা খুবই খুশি যে হরলান্ড সিটিতে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
হরলান্ড এলেই তো হবে না। তাঁকে দলে মিশে যেতে হবে। আর সে কাজটিতে নরওয়েজিয়ান ফুটবলারকে সাহায্য করতে হবে পুরোনোদেরই। সে ব্যাপারটিই সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন গার্দিওলা, ‘আমরা আগামী মৌসুমে সবাই একই সঙ্গে কাজ করব। আমরা সবাই মিলে তাঁকে দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করব। আমি নিশ্চিত, আমি যে কৌশলে খেলাতে চাই, তাতে হরলান্ড দ্রুতই নিজেকে মানিয়ে নেবে।’