উয়েফাকে পাত্তা না দিয়ে সুপার লিগ চালিয়ে যাবে বার্সা-রিয়াল-জুভ

সুপার লিগ নিয়ে ধোঁয়াশা চলছেইফাইল ছবি

সুপার লিগের পরিকল্পনা থেকে কোনোভাবেই সরে আসতে রাজি হচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস।

নানামুখী চাপে অন্যান্য ৯ ক্লাব সুপার লিগের জোট থেকে দ্রুত সরে এলেও রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস সরেনি। উয়েফার চোখরাঙানিকে পাত্তাই দেয়নি এই তিন ক্লাব। গুঞ্জন ছিল, শাস্তি হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুম থেকে হয়তো বহিষ্কার করা হতে পারে তাদের।

কিন্তু সেটি হয়নি। সময় যত যাচ্ছে, সুপার লিগের প্রতি ভালোবাসা বেড়েই চলেছে এই তিন ক্লাবের। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে তিন ক্লাব জানিয়েছে, সুপার লিগের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনাই নেই তাদের। সুপার লিগে যোগ দিলে উয়েফা যেসব শাস্তির কথা বলেছে, প্রতিটা শাস্তির যৌক্তিকতার বিরুদ্ধে তারা সফলভাবে পালটা যুক্তি উপস্থাপন করতে পেরেছে। তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য শাস্তি তুলে নিতে বাধ্য উয়েফা।

বিবৃতিতে ক্লাব তিনটি জানিয়েছে, ‘ফুটবলের এই বিশেষ বিষয়টার ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। ইউরোপীয় যেকোনো প্রতিযোগিতায় উয়েফা নিজেদের একচ্ছত্র আয়োজক, নিয়ন্ত্রক ও আধিকারিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যা ফুটবলকে আস্তে আস্তে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। ফুটবলে সাম্য নষ্ট করছে। আর্থিক বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের কোনো স্বচ্ছতা নেই তাদের। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় যেসব ক্লাব অংশ নেয়, তাদের অধিকার আছে নিজেদের আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। আমরা এটা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে এখন থেকে আমরা উয়েফার কোনো ভয়ভীতিতে পিছপা হব না।’

সুপার লিগ–সংক্রান্ত নিজেদের প্রস্তাবের বেশ কিছু জায়গায় যে এখনো আলোচনার অবকাশ রয়েছে, সেটাও স্বীকার করা হয় বিবৃতিতে, ‘আমাদের প্রস্তাবনার বেশ কিছু বিষয়ে এখনো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের অবকাশ রয়েছে, সেটা আমরা জানি। ক্রমাগত আলোচনা ও মতবিনিময়ের ভিত্তিতে ঠিক করা যেতে পারে। এই প্রকল্পে সাফল্যের জন্য আমরা সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আশাবাদী ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুযায়ী এ প্রতিযোগিতাকে সফল করতে পারব।’

পেরেজদের সাধের সুপার লিগ কি হবে?
ফাইল ছবি: এএফপি

উয়েফার শৃঙ্খলা কমিটি মে মাসে এই তিন ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল। সেই তদন্ত সাফল্যের মুখ দেখেনি। সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা ১২ ক্লাবের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা এই তিন ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উয়েফা।

নতুন এই বিবৃতির বিরুদ্ধে উয়েফা কিছু বলতে অস্বীকার করেছে।