উয়েফার সুরেই চোখ রাঙালেন ফিফা সভাপতিও

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।ছবি: টুইটার

তিনি একটি খেলার কর্ণধার সংস্থার প্রধান। সেই খেলা নিয়ে কোনো বিতর্ক উঠলে সবাই তো তাঁর মুখের দিকেই তাকিয়ে থাকবে। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি—জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনোর সাফ কথা, প্রস্তাবিত সুপার লিগে ক্লাবগুলো অংশ নিলে ‘পরিণতি’ মেনে নিতে হবে।

স্বাভাবিকভাবেই অঙ্গসংগঠন উয়েফার পাশে দাঁড়িয়েছেন ফিফা সভাপতি। ইউরোপের ১২টি বড় ক্লাব একজোট হয়ে সুপার লিগ নামে আলাদা একটি টুর্নামেন্ট চালু করতে চায়।

মোট ২০ দলের এ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য হুমকি আর সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলো বর্তমানের ইউরোপ–সেরার প্রতিযোগিতায় খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাও অনড়।

সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছে, সুপার লিগে অংশ নেওয়া ক্লাব ও খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা হবে। ক্লাবগুলো ঘরোয়া লিগে খেলতে পারবে না এবং জাতীয় দলের হয়েও খেলতে পারবেন না ফুটবলাররা।

সুইজারল্যান্ডে উয়েফার সম্মেলনে ইনফান্তিনো বলেন, ‘ইউরোপের খেলার মডেল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই কেউ যদি নিজেদের পথ বেছে নেয়, তাহলে এই পথ বেছে নেওয়ার পরিণতিও ভোগ করতে হবে। কাজের পরিণতি তো মেনে নিতেই হবে।’

স্পেন থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, লিভারপুল ও টটেনহাম এবং ইতালি থেকে এসি মিলান, ইন্টার মিলান ও জুভেন্টাস সুপার লিগে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাব হিসেবে। তবে এ টুর্নামেন্ট হবে মোট ২০টি ক্লাব নিয়ে।

এই মুহূর্তে ঘরোয়া লিগে ভালো করে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হয় ক্লাবগুলোকে। নকআউট পর্বে হাই ভোল্টেজ ম্যাচগুলোর আগে লম্বা গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিতে হয় দলগুলোকে। কিন্তু সুপার লিগে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলো প্রতি মৌসুমেই ‘অটোমেটিক’ খেলার সুযোগ পাবে। তাদের কোনো অবনমন নেই।

অর্থাৎ সুপার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন নিয়ে ভাবতে হবে না প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলোকে। প্রতি মৌসুমেই খেলা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার চেয়ে অনেক বেশি টাকা কামানোর সুযোগ পাবে ক্লাবগুলো।

সুপার লিগ শুরু করতে চাওয়া ক্লাবগুলো অবশ্য ঘরোয়া লিগ খেলতে চায়। কিন্তু ইনফান্তিনোর সোজা কথা, ‘হয় আপনি থাকবেন, নয়তো যাবেন। মাঝামাঝি বলে কিছু নেই। অর্ধেক থাকবেন, অর্ধেক থাকবেন না, তা হতে পারে না। এটা সবার আগে নিশ্চিত হবে।’

অর্থাৎ ইনফান্তিনো বোঝাতে চেয়েছেন, সুপার লিগে খেললে ঘরোয়া লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও জাতীয় দল—এসব বিষয় ভুলে যেতে হবে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাব ও তাদের খেলোয়াড়দের। সুপার লিগ নিয়ে ইনফান্তিনো সোজাসাপ্টাই বলেছেন, ‘ফিফার অনুমোদন নেই। উয়েফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।’