বাংলাদেশের কোনো মিডফিল্ডার এর চেয়ে ভালো শুরুর আশা আর করতে পারতেন না।
প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচে গোল করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। আজ তাঁর একমাত্র গোলেই রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
গোলটি ছিল দুর্দান্ত—চমৎকার এক সাইডভলিতে। ম্যাচ শেষে দুই দলের কোচের মুখেই থাকল আবদুল্লাহর গোলটির প্রশংসা।
ম্যাচটি ছিল নিতান্তই ম্যাড়মেড়ে। ৭৫ মিনিটে আবদুল্লাহর গোলটিই যা একটু প্রাণ এনেছে খেলায়। কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশবেকভের কর্নার থেকে বক্সের মধ্যে আনমার্কড অবস্থায় কোনাকুনি ভলিতে বল জালে জড়ান।
আবদুল্লাহ ভালো ভলি করতে পারেন। আজ ম্যাচের শুরু থেকেই সতীর্থদের কাছে ভলি নেওয়ার মতো বলের প্রত্যাশা ছিল আবদুল্লাহর, ‘ভলি আমার সবচেয়ে পছন্দের। ম্যাচের শুরু থেকেই দলের খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, আমাকে যেন একটা ভলি নেওয়ার মতো বল দেওয়া হয়। কর্নার থেকে পেয়ে গেলাম সেই সুযোগটি। টাইমিংটাও ভালো হয়েছে।’
আগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২–১ গোলের জয়ের ম্যাচেও দুর্দান্ত গোল করেছিলেন তিনি। বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিলেন। এই প্রথম টানা দুই ম্যাচে গোল করলেন এই মিডফিল্ডার।
ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জটি নিচ্ছেন আবদুল্লাহ, ‘এবারই প্রথম টানা দুই ম্যাচে গোল করলাম। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। কাজটি কঠিন। তবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ’
আগের ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ২–১ গোলের জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিল শেখ রাসেল। রহমতগঞ্জের অনুপ্রেরণা ছিল সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ১–১ গোলে ড্রয়ের। কিন্তু আজ দুই দলের খেলাতেই আগের ম্যাচের প্রায় কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ম্যাচ শেষে শেখ রাসেলের কোচ সাইফুল বারীর মুখে সেই গোলের প্রশংসা, ‘আবদুল্লাহর গোলটি ছিল অপ্রত্যাশিত। ওই সময়ে অমন জায়গা থেকে ভলিতে গোল করবে, আমি তা আশা করিনি।’ রহমতগঞ্জের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানীও বলেছেন ,‘ অপ্রত্যাশিত একটি গোলে হেরেছি আমরা।’
২৪ জানুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে খেলবে শেখ রাসেল। এর আগের দিন একই ভেন্যুতে রহমতগঞ্জের প্রতিপক্ষ আবাহনী লিমিটেড।