‘এটা কীভাবে ফাউল হয়?’

সংবাদ সম্মেলনে শেখ জামাল ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের।
ছবি: প্রথম আলো

প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও বসুন্ধরা কিংস। গোলশূন্য ম্যাচের শেষ দিকে রেফারির দেওয়া একটি ফাউলের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ৮৮ মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড জাহিদের থ্রুতে বল জালে পাঠান জামালের গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার ওমর জোবে। এর আগে জোবের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে গিয়ে বসুন্ধরা কিংসের সেন্টারব্যাক ও অধিনায়ক তপু বর্মণ মাটিতে পড়ে যান। সেটিকে ফাউল দেওয়া নিয়েই বিতর্ক।

শেখ জামালের দাবি, কোনোভাবেই ফাউল করেননি তাদের স্ট্রাইকার। উল্টো তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে গোল থেকে। এ নিয়ে কাল মাঠেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন শেখ জামালের কোচ ও কর্মকর্তারা। আজ গুলশানে নিজের অফিসে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন শেখ জামাল ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের। সেখানে কালকের ফাউল দেওয়ার দৃশ্যটি জায়ান্ট স্ক্রিনে বহুবার গণমাধ্যমকর্মীদের দেখান। এরপর বিতর্কিত রেফারিংয়ের অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

রেফারি জালাল উদ্দিনের দেওয়া ফাউলটি সম্পর্কে মনজুর কাদের বলেন, ‘আমার খেলোয়াড় থ্রু দিয়েছে। আমার স্ট্রাইকার ওমর জোবে দারুণ গতিতে গোল করেছে। একপর্যায়ে দেখলাম যে জোবেকে জার্সি ধরে টান দেওয়া হয়েছিল। ডিফেন্ডার পড়ে রইল লজ্জায়, দেখাল যে ক্র্যাম্প করেছে। আপনারাই বলুন, এটা কি ফাউল হয়েছে? বিতর্কিত রেফারিং হয়েছে।’

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের প্রতি তাঁর আবেদন, ‘ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির কাছে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ থাকবে, আমাদের মতো বড় ফুটেজে দেখার। যদি এটা গোল না হয়, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। আর যদি সত্যিকার অর্থে গোল হয়ে থাকে, তাহলে কেন গোল দেওয়া হলো না? কেন রেফারি এ রকম বাঁশি বাজাল? এর উপযুক্ত বিচার আমরা তার কাছে চাই।’

কাল রেফারির সিদ্ধান্ত মানতেই পারছিলেন না শেখ জামালের খেলোয়াড়েরা।
ছবি: প্রথম আলো

এরপর মনজুর কাদের আরও বলেন, ‘ফুটবলের কর্তাব্যক্তি আমার বন্ধু কাজী সালাউদ্দিন। নিঃসন্দেহে আমার প্লেয়ার উইথ বলে দ্রুতগতিতে যে গোলটি করেছে। আমি নিশ্চিত সে (কাজী সালাউদ্দিন) এ গোলের প্রশংসা করবে এবং নিশ্চিতভাবে এ ধরনের বাজে রেফারিংয়ের বিপক্ষে অ্যাকশন নেবে। এটা যদি না করা হয়, এ দেশের ফুটবলের প্রতি কুড়াল মারা হবে। এ দেশের ফুটবলের প্রতি চপেটাঘাত করা হবে।’

ফেডারেশন চাইলে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে এটি চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারেন বলেও তাঁর মত। এ ছাড়া ভিএআর প্রযুক্তি চালুর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কালকের ড্রয়ে ৮ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বসুন্ধরা। এক ম্যাচ কম খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে শেখ জামাল।