এবার আর পারেনি রহমতগঞ্জ
রহমতগঞ্জের চমক শেষ। গত ফেডারেশন কাপে ফাইনালে খেলা পুরান ঢাকার দলটি নতুন মৌসুমে একই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে শূন্য হাতে। বসুন্ধরা কিংসের কাছে ২-০ গোলে হার দিয়ে শুরু। আজ চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হার ১-০ গোলে। টানা দুই হারে মৌসুম সূচক টুর্নামেন্টে গ্রুপ থেকেই বিদায় নিয়েছে রহমতগঞ্জ। তিন দলের ‘সি’ গ্রুপে একটি করে ম্যাচ জিতে বসুন্ধরা কিংস ও চট্টগ্রাম আবাহনী উঠে গেছে শেষ আটে।
আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী-রহমতগঞ্জ ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে ৩৭ মিনিটে। বক্সের ভেতর থেকে গড়ানো শটে লক্ষ্যভেদ চট্টগ্রাম আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার নিক্সন ব্রিজোলারার। বাকি সময়ে গোলটি ধরে রাখতে পারাই চট্টগ্রাম আবাহনীর বড় স্বস্তি। তবে কোচসহ গতবারের দলটিই ধরে রাখা চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলায় ধরা পড়েছে সমন্বয়হীনতা।
চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে প্রায় সমানতালে লড়েও গোলমুখ খুলতে না পারার খেসারতই দিল রহমতগঞ্জ। গোল খাওয়ার আগে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন রহমতগঞ্জের তাজিক ফরোয়ার্ড দিলশড ভাসিয়েভ। বক্সের সামনে ফাঁকায় বল বল পেয়েও তাঁর দুর্বল শট চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলকিপার মোহাম্মদ নাইমের হাতে।
দ্বিতীয়ার্ধে চড়াও হয়ে খেলেও বিফল রহমতগঞ্জ। প্রথম ম্যাচে একমাত্র মিসরীয় ডিফেন্ডার নিয়ে খেলা রহমতগঞ্জ আজ মাঠে নামে আরও দুই বিদেশি নিয়ে। তাজিকিস্তানের দিলশড ভাসিয়েভের সঙ্গে তাঁরই স্বদেশি ডিফেন্ডার খুরশীদ। তিন বিদেশিতে শক্তি বাড়লেও রহমতগঞ্জের মূল সমস্যাটা হয়েছে গোলের রাস্তা খুঁজে না পাওয়ায়।
দ্রুতই ফেডারেশন কাপ থেকে বিদায় নিয়ে হতাশ রহমতগঞ্জের কোচ গোলাম জিলানী। হারের কারণটা ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘অল্প কদিনের অনুশীলনেই আমরা মাঠে নেমেছি। বিদেশি সবাইকে এখনো পাওয়া পায়নি। এসব কারণেই এবার গ্রুপেই আমাদের যাত্রা শেষ। তবে আশা করি লিগে ভালো করব।’
জয় দিয়ে মৌসুম শুরু। তবু চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হক দ্বিতীয়ার্ধে দলের খেলায় খুশি নন, ‘প্রথমার্ধটা ঠিক আছে। কিন্তু এরপর আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এলোমেলো পাস হয়েছে। প্রতিপক্ষ প্রচুর জায়গা পেয়েছে। তবু জয় পেয়েছি, এটাই সন্তুষ্টির।’