এমএসএন নেই? রাফিনিয়া আছেন!

গোলের পর রাফিনিয়া। ছবি: রয়টার্স।
গোলের পর রাফিনিয়া। ছবি: রয়টার্স।

ন্যু ক্যাম্পে গত রাতটা বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডদের ছিল না। গ্রানাডার অতি-রক্ষণাত্মক ফুটবলের সামনে গোল যখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছিল, তখনই ত্রাণকর্তা হয়ে এলেন রাফিনিয়া। তাঁর গোলেই ১-০ গোলে পুরো পয়েন্ট তুলে নিতে পেরেছে লুইস এনরিকের দল।

গ্রানাডার বিপক্ষে এই জয় সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার টানা চতুর্থ জয়। জয়টা কষ্টার্জিত হলেও বার্সা কোচ লুইস এনরিকের মতে, তাঁর দল এই মুহূর্তে ঠিক পথেই আছে, ‘আমরা এখনো শীর্ষে উঠতে পারিনি। তবে শীর্ষের পথেই আছি। শিরোপার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রায় সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই খেলা বাকি থাকলেও আমার মনে হয় লা লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগে আমরা সঠিক পথেই আছি।’

ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গোল পায় গ্রানাডার প্রতিরোধ ভাঙে বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার এই গোলে মূল সহায়ক লিওনেল মেসি। ডানপ্রান্ত থেকে তাঁর বাড়ানো বলে নেইমারের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বলে লক্ষ্যভেদ করেন রাফিনিয়া।

ব্রাজিলীয় এই মিডফিল্ডারের বার্সার জার্সিতে এটি পঞ্চম গোল। যদিও গোল করা তার মূল কাজ নয়। তবে এমএসএনের অনেক নিষ্প্রভ রাতে বার্সাকে উদ্ধার করেছন।

এনরিকেও দারুণ খুশি রাফিনিয়ার এই পারফরম্যান্সে, ‘সে বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ায়। একজন মিডফিল্ডারের কাছ থেকে যেটি আমি চাই।’

মেসি-নেইমারদের ওপর থেকে গোল করার চাপ কমিয়ে আনতে রাফিনিয়ার ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন বার্সেলোনা কোচ, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ফরোয়ার্ড লাইনে অতুলনীয় তিন খেলোয়াড় আছে। কিন্তু এঁদের পাশাপাশি যতো বেশি খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের বক্সে প্রবেশ করে গোলের সুযোগ তৈরি করবে, ততোই ভালো।’ সূত্র: এএফপি।