ওজিলের সঙ্গে বাজে আচরণে খেপেছেন বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকার

ওজিল।
ছবি: টুইটার

বছর দুয়েক আগেও আর্সেনালের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা ছিলেন মেসুত ওজিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে ইংলিশ ক্লাবে একেবারেই ব্রাত্য ওজিলের মতো সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার। প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও ইউরোপা লিগ, কোথাও আর্সেনাল কোচ মিকেল আরতেতার দলে নেই ৩২ বছর বয়সী এই জার্মান। আর্সেনালে ছয়-সাত বছর ধরে দাপটের সঙ্গে খেলা ওজিলের মতো ফুটবলারের প্রতি কোচের এমন আচরণ মেনে নিতে পারছেন না লুকাস পোডোলস্কি। ২০১৪ সালে ওজিলের সঙ্গেই বিশ্বকাপ জিতেছেন স্ট্রাইকার পোডোলস্কি। প্রায় তিন মৌসুম আর্সেনালে খেলা এই স্ট্রাইকার বর্তমানে খেলছেন তুরস্কের লিগে। জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ওজিলের খারাপ সময়ে চুপ থাকতে পারেননি তিনি।

আর্সেনালের জার্সিতে সর্বশেষ কবে খেলতে দেখা গেছে ওজিলকে, তা ভুলে যাওয়ারই কথা। করোনাভাইরাস এসে ফুটবল বিশ্বকে থামিয়ে দেওয়ার আগে আগে সর্বশেষ ৭ মার্চ আর্সেনালের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ওজিল। এরপরই জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা মিডফিল্ডারকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছে আর্সেনাল। ওজিলের প্রতি আর্সেনাল কোচ অবিচার করছেন বলে মনে করেন পোডোলস্কি, ‘আমি পেছনের ঘটনা জানি না। কিন্তু ছয়-সাত মৌসুম ভালো খেলা কোনো ফুটবলারকে ছুড়ে ফেলে দেবেন, বিষয়টি একেবারেই ঠিক নয়।’

২০১৪ সালে ওজিলের সঙ্গেই বিশ্বকাপ জিতেছেন স্ট্রাইকার পোডোলস্কি
ছবি: টুইটার

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ২০১৩ সালে আর্সেনালে যোগ দেন ওজিল। গেল সাত বছরে গানারদের জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫৪ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৪৪টি। কিন্তু উনাই এমেরি কোচ থাকাকালীন গত মৌসুমেই ওজিলের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। আরতেতা দায়িত্ব নেওয়ার পর একেবারেই দলের বাইরে চলে যান।
এমন একজন খেলোয়াড়ের সবকিছু এভাবে শেষ হওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না পোডোলস্কি, ‘কতটা দক্ষ সে, সেটি মাঠেই দেখা গেছে। সে কখনোই সতীর্থ খেলোয়াড় বা ক্লাবের সঙ্গে নেতিবাচক কিছু করেনি। দুঃখজনকভাবে সবাই তা ভুলে গেছে। সমাপ্তিটা এভাবে হওয়া উচিত নয়। গত কয়েক মাসে ক্লাব তার সঙ্গে ভালো কিছু করেনি।’

এখনো মনেপ্রাণে গানার ওজিল।
ছবি: টুইটার

আর্সেনালের সাবেক অধিনায়ক লরাঁ কসিয়েলনিও ওজিলকে ভালো মানুষ হিসেবে তকমা দিয়েছেন। প্রায় ৯ বছর ওজিলের সঙ্গে আর্সেনালে খেলেছেন ফ্রান্সের এই ডিফেন্ডার। কসিয়েলনির কাছে ওজিল কিংবদন্তিতুল্য, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সে আমার কাছে কিংবদন্তিতুল্য। সে এমন জায়গায় পাস দিতে পারে, যা অন্য কেউ দেখতে পায় না। খেলোয়াড় হিসেবে তাকে ফেনোমেনন বলাই যায়। সে অবিশ্বাস্য পাস দিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমরা দুজনই আর্সেন ওয়েঙ্গার যুগের অংশ। খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েঙ্গার তাকে খুবই ভালোবাসতেন। কিন্তু উমাই এমেরি ও মিকেল আরতেতার সময়ই ঝামেলা হলো।’