ওজিলের সঙ্গে মিটমাট করতে চাইছেন বিদায়ী কোচ ল্যুভ

জার্মানি জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ওজিল।ফাইল ছবি: রয়টার্স

এ নিয়ে কম জল ঘোলা করা হয়নি। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর জার্মান দল থেকে অবসর নিয়েছেন মেসুত ওজিল। সে সময় এ ঘোষণার পেছনে জাতিবিদ্বেষী আচরণের শিকার হওয়ার কথা বলেছিলেন ওজিল। এটাও বলেছিলেন যেকোনো কিছুতে তাঁকে বলির পাঁঠা বানায় জার্মান ফুটবল ফেডারেশন।

শুধু জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের ওপরই যে ওজিলের রাগ, এমন নয়। সে ঘটনার পর কোচ ইওয়াখিম ল্যুভের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এই মিডফিল্ডারের। দুজনের মধ্যে কথা বলাও এখন বন্ধ। কিন্তু জার্মান দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাখা ল্যুভ এর অবসান চাইছেন। মিটমাট করে নিতে চাইছেন ওজিলের সঙ্গে।

এরদোয়ানের সঙ্গে ওজিল ও গুন্দোয়ানের বিতর্কিত সেই ছবি।
ফাইল ছবি: এএফপি

২০০৯ সালে জার্মানির হয়ে অভিষেক ওজিলের। তুরস্কের বংশোদ্ভূত এই মিডফিল্ডারের অভিষেক ল্যুভের হাত ধরে। তাঁর অধীনেই জাতীয় দলের মূল তারকা হয়ে উঠেছিলেন ওজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপ জেতা দলের মূল খেলোয়াড়দের একজন তিনি।

২০১৮ বিশ্বকাপ ঝামেলা বাধিয়েছে সেই সম্পর্কে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তুলে তোপের মুখে পড়েন ওজিল ও তুরস্কের বংশোদ্ভূত আরেক জার্মান ইলকায় গুন্দোয়ান। সে সমালোচনার মধ্যেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে জার্মানি।

বিদায় বলে দিয়েছেন ল্যুভ।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার মুখে তাঁকে রক্ষা করা হয়নি, বর্ণবাদী আচরণ করা হয়েছে এবং বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের উদ্দেশে বড় এক খোলা চিঠি দিয়ে অবসরের কথা জানিয়েছিলেন ওজিল।

জার্মান কোচ ল্যুভ এ সিদ্ধান্তে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে ওজিলের ওপর রাগ দেখিয়ে সংবাদমাধ্যম বিল্ডকে বলেছিলেন, ‘মেসুত ওজিলের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ওর উচিত ছিল আমাকে সরাসরি জানানো। ওর এজেন্ট আমাকে ফোন দিয়েছে, আর বলেছে, মেসুত আমাকে সব ব্যাখ্যা করে জানাবে। কিন্তু সেটা আর হয়নি।’

জার্মানির জার্সিতে ওজিলকে আর দেখা যাবে না।
ফাইল ছবি: এএফপি

জার্মান দল থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসে গেছে ল্যুভের। বিদায়বেলায় ওজিলের ঘটনা নিয়ে আক্ষেপ হচ্ছে তাঁর। ৬১ বছর বয়সী কোচের ধারণা, ওজিলের সঙ্গে মিটমাট করে নেওয়ার সময় এসেছে, ‘আমার সঙ্গে কথা না বলে ওজিলের জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া খুব হতাশাজনক ছিল। আবার নিশ্চয় আমাদের দেখা হবে, কথা হবে। একদিন আমরা সবকিছু এক পাশে সরিয়ে মিটমাট করে নেব।’

৩২ বছর বয়সী ওজিল এখন তুরস্কে। ফেনারবাচের হয়ে খেলছেন সুপার লিগে। তাই খুব দ্রুত দেখা হওয়ার সম্ভাবনা জাগছে না। যদিও ল্যুভের ধারণা, দুজনে মিলে জাতীয় দলে যা অর্জন করেছেন, তাতে মিটমাট হতে সময় লাগবে না, ‘এই স্মৃতিগুলো আমাদের জন্য ইতিবাচক কিছু। সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল। অসাধারণ খেলোয়াড়, যার দক্ষতা অসাধারণ।’