করোনাকে হারিয়ে দিলেন তিনি

সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরতেতা। ছবি : এএফপি
সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরতেতা। ছবি : এএফপি
>

আর্সেনালের কোচ মিকেল আরতেতা ঘোষণা দিয়েছেন, করোনা-যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। ইংল্যান্ডের ফুটবলে করোনাভাইরাস সবার আগে যাঁদের আঘাত হেনেছিল, তাঁদের মধ্যে একজন আরতেতা

করোনাভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আর্সেনালের স্প্যানিশ ম্যানেজার মিকেল আরতেতা।
গত ১০ মার্চ ইউরোপা লিগে তাঁর দল আর্সেনাল মুখোমুখি হয়েছিল গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের সঙ্গে। ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পাননি, অলিম্পিয়াকোসের মালিক ইভাঙ্গেলোস মারিনাকিস তখন বহন করছিলেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। আর্সেনালের ম্যানেজার মিকেল আরতেতাসহ অনেকেই সেদিন মারিনাকিসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, আলিঙ্গন করেছেন, ভাব-বিনময় করেছেন। ব্যস, তাতেই যা হওয়ার হয়ে যায়। ১২ মার্চে খবর আসে, করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে আরতেতার শরীরে।

ভয়ের সেসব দিনগুলো স্মরণ করতে গিয়ে আরতেতা বলেছেন, ‘সে দিন একজন বোর্ড কর্মকর্তার কাছ থেকে আমি ফোন পাই। সেখান থেকেই জানতে পারি অলিম্পিয়াকোসের সভাপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেদিন ওনার সঙ্গে যারা মেলামেশা করেছেন সবাই ঝুঁকিতে আছেন। আমি তাঁকে জানাই, আমার নিজেরও সকাল থেকে তেমন ভালো লাগছে না। পরের দিনেই ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে আমাদের খেলা ছিল। এই অবস্থায় আমি তথ্য গোপন করে খেলোয়াড়দের ঝুঁকিতে ফেলতে পারতাম না।’

সঙ্গে সঙ্গে গৃহবন্দী জীবন বেছে নেন পিএসজি, এভারটন ও আর্সেনালের সাবেক এই মিডফিল্ডার, ‘আমার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, সবাইকেই কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে। খেলাও স্থগিত হয়েছে।’

তবে এখন আর সেই শঙ্কা নেই বলে স্প্যানিশ চ্যানেল লা সেক্সতাকে জানিয়েছেন আরতেতা, ‘তিন-চার দিনের মধ্যেই আমি আস্তে আস্তে সুস্থ অনুভব করা শুরু করি। আস্তে আস্তে লক্ষণগুলো কমতে শুরু করে। শক্তি ফিরে পাচ্ছি শরীরে। আমি এখন অনেক সুস্থ। আমার মনে হচ্ছে, আমি সুস্থ হয়ে গিয়েছি।’

শুধু আরতেতাই নন, একই সঙ্গে করোনার কবলে পড়েছিলেন চেলসির ইংলিশ উইঙ্গার ক্যালাম হাডসন-ওডোয়। যদিও নিজের সুস্থতার কথা টুইটারে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন এই তারকা।

এদিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সময়সীমা শেষ হলেও খেলোয়াড়দের অনুশীলনে ফিরতে মানা করেছে আরতেতার ক্লাব আর্সেনাল, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বলতে হচ্ছে, এ অবস্থায় খেলোয়াড়দের অনুশীলনে ফিরতে বলার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ আমরা করতে পারি না। আমাদের পুরুষ, মহিলা ও একাডেমি দলের সকল সদস্য বাসায় থাকবেন, অনুশীলন করার দরকার নেই। জীবন বাঁচান।’