করোনার বিধিনিষেধে মাকে শেষ দেখা দেখতে পারেননি ক্লপ

মা এলিজাবেথের সঙ্গে লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ
ছবি: মেইল অনলাইন

ফুটবলের চেয়ে বেশি প্রিয় ইয়ুর্গেন ক্লপের কাছে হয়তো আর কিছু নেই—বেশির ভাগ মানুষই এ রকমটা জানত। ক্লপের কাছে ফুটবলের চেয়ে প্রিয়ও যে কিছু ছিল, তা সবাই বুঝতে পারল আজ।

মায়ের মৃত্যুশোক নিয়ে ক্লপ কথা বলার পর। শুধু ফুটবল কী। ফুটবল, সমাজ, সংসারসহ যাবতীয় ক্লপের কাছে ছিল এক পাশে। অন্য পাশে একাই ছিলেন তাঁর মা এলিজাবেথ।

যে মা তাঁর কাছে এতটা, ৮১ বছর বয়সে মারা যাওয়া সেই মাকে শেষ দেখাটা দেখতে পেলেন না ক্লপ। সেই দুঃখে ভীষণ ভেঙে পড়েছেন লিভারপুলের জার্মান কোচ।

ক্লপের মা এলিজাবেথ মারা গেছেন গত ১৯ জানুয়ারি। মায়ের মরা মুখটা দেখতে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জার্মানিতে করোনার বিধিনিষেধের কারণে সেটা আর হয়ে ওঠেনি।

ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ধরা পড়ার পর থেকে সেখান থেকে জার্মানিতে ভ্রমণ অনেকটাই নিষিদ্ধের মতো। জরুরি কাজে ইংল্যান্ড থেকে কেউ জার্মানিতে যেতে পারবেন। তবে এর আগে মানতে হবে কিছু কঠিন নিয়ম।

লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ
ছবি: রয়টার্স

এখন ইংল্যান্ড থেকে জার্মানি যেতে হয় করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে। এরপর ১০ দিন থাকতে হয় আইসোলেশনে। কিন্তু মায়ের লাশটা এত দিন হিমঘরে রাখতে চাননি ক্লপ। এ কারণে লন্ডন থেকে জার্মানিতে যাওয়া হয়নি তাঁর।

কিন্তু এ যেতে না পারায় যে কঠিন শোক জমা হয়ে আছে বুকে, সেটা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন আজ। মায়ের মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লিভারপুলের সমর্থকদের উদ্দেশে ক্লপ বলেছেন, ‘তিনিই ছিলেন আমার কাছে সবকিছু।’

মা এলিজাবেথকে হয়তো শেষ দেখা দেখতে পারেননি। তবে মাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনা এখনো বাদ দেননি ক্লপ।

মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ৫৩ বছর বয়সী কোচ বলেছেন, ‘ভ্রমণ উন্মুক্ত হওয়ার পর আবার সুন্দরভাবে শ্রদ্ধা জানাব তাঁকে। তিনি ছিলেন সত্যিকারের এক মা। একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিষ্টান হিসেবে আমি জানি, তিনি এখন ভালো জায়গাতেই আছেন।’

এলিজাবেথের তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ক্লপ। ১৯৬০ সালে বিয়ে করা এলিজাবেথ মা হয়েছিলেন ওই বছরই। তাঁর প্রথম সন্তানের নাম স্টেফানি। দ্বিতীয় সন্তান ইসোল্ডের জন্ম ১৯৬২ সালে। আর ক্লপ এলিজাবেথের কোলজুড়ে আসেন এর পাঁচ বছর পর।