করোনার ভ্যাকসিন বের করার পথে ফুটবল ক্লাবের মালিক

করোনার ভ্যাকসিন বের করার পথে হপ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: রয়টার্স
করোনার ভ্যাকসিন বের করার পথে হপ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: রয়টার্স
>বিপুল অর্থে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভ্যাকসিনটি কিনে নিতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

জার্মানিতেই ডিয়েটমার হপকে খুব বেশি মানুষ পছন্দ করেন না। ক্লাবের সদস্যদের অর্থে নয়, একজন মালিকের অর্থায়নে কোনো ক্লাবের উত্থান ভালো চোখে দেখে না জার্মান সমর্থকেরা। কিন্তু হফেনহাইম এর মালিক এক লাফেই সারা বিশ্বের সব মানুষের চোখের মণি হয়ে যেতে পারেন। পুরো ইউরোপ গৃহবন্দী হওয়ার পথে, এমন অবস্থায় একটি খুশি হওয়ার মতো সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। ডার স্পিগেল জানিয়েছে জার্মান প্রতিষ্ঠান কিউরভ্যাক করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

কিউরভ্যাক যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে সেটা প্রস্তুত হয়েই গেছে। কিন্তু এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাকি আছে ওষুধটির। মানব দেহে ওষুধটির প্রভাব কেমন হবে, সে পরীক্ষা না করে কোনো ওষুধই ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু কিউরভ্যাকের এ ওষুধ এর মাঝেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মাঝেই এই ভ্যাকসিনের স্বত্ব কেনার চেষ্টা করেছেন। ট্রাম্পের উদ্দেশ্য, ভ্যাকসিন ব্যবহার যোগ্য হলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সবার আগে এর সেবা দেওয়া হোক।

এই গুঞ্জনের জবাবে হফেনহাইমের মালিক হফ বলেছেন, ‘আমরা যদি কোনো কার্যকরী ভ্যাকসিন বের করতে চাই, তবে তাঁকে শুধু এগিয়ে আসলেই চলবে না, মানুষকে বাঁচাতে হবে এবং তাঁদের প্রতি সৌহার্দ্য দেখাতে হবে।’ হপের ইঙ্গিতটা পরিষ্কার, শুধু কোনো অঞ্চলের সুবিধার জন্য ভ্যাকসিন বের করবেন না তারা। এটা সারা বিশ্বের জন্যই বানাবেন তারা।

জার্মানির অর্থমন্ত্রী পিটার আলটমেয়ার কিউরভ্যাকের এ চেষ্টা ও ট্রাম্পকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মুগ্ধ, ‘প্রতিষ্ঠানটি দারুণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবার জন্য ভ্যাকসিন বের করার এ সিদ্ধান্তে এই বিপর্যয়ের মাঝেও ওরা পরিষ্কার একটা বার্তা দিতে চাইছে। আর সেটা হলো জার্মানিকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।’