করোনায় প্রথম কোনো ফুটবলারের মৃত্যু

গুজম্যানের মৃত্যুতে বলিভিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের শোক। ছবি: টুইটার
গুজম্যানের মৃত্যুতে বলিভিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের শোক। ছবি: টুইটার

ফুটবল বিশ্বকে থমকে দিয়েছিল করোনাভাইরাস। মাঠের খেলা , দর্শকের কোলাহল আর উচ্ছ্বাসে বাধা হয়ে এসেছে এই সংক্রমণ। এর মাঝেও একটি স্বস্তি ছিল ফুটবল জগতে। এই বৈশ্বিক মহামারিতে অন্তত কোনো ফুটবলারের তো প্রাণহানি হয়নি। সে স্বস্তিটাও গেল। গত সপ্তাহেই প্রথম ফুটবলার হিসেবে করোনায় মৃত্যু বরণ করেছেন ডেইবার্ট ফ্রান্স রোমান গুজম্যান।

এর আগে করোনায় যত ফুটবলারকে হারিয়েছে বিশ্ব তাঁরা সবাই ছিলেন সাবেক। ইরানের মোহসেন বাভি নামের এক ফুটবলার গত ৬ মে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু তাঁর ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্যই দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়নি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ইরানেরই ইলহাম শেইকি নামের এক নারী ফুটসাল খেলোয়াড় মৃত্যবরণ করেছিলেন। ২২ বছর বয়সী শেইকি জাতীয় ফুটসাল দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ফুটবলার হিসেবে মৃত্যু গুজম্যানের। 

ফুটবল জগতে নামটি পরিচিত নয়। হওয়ার কথাও নয়। বলিভিয়ার ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার খেলেন বিশ্ববিদ্যালয় দল বেনির হয়ে। তবে ক্যারিয়ার ঠিকভাবে এগোলে পরিচিত হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল গুজম্যানের। কৈশোরে বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলে নিয়মিতই খেলতেন এই ফুটবলার। দেশের অন্যতম বড় ক্লাব ন্যাসিওনাল পোতোসির হয়েও নাম লেখানোর কথা ছিল। পরবর্তীতে নিজে প্রতিভার সদ্ব্যবহার করতে না পারলেও বলিভিয়ান ফুটবল ফেডারেশন মনে রেখেছে তাঁকে।

গুজম্যানের বিদায়ে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন টুইট করেছে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট আনহেল সুয়ারেজ বলেছেন, 'ডেইবার্ট রোমান গুজম্যানের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি বলিভিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের আন্তরিক সমবেদনা। এই কঠিন সময়ে খোদার কাছে তাদের ধৈর্য ধরার ক্ষমতা চাইছি।'

বলিভিয়ান সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, গুজম্যান তাঁর বাবা বেলিসারিও রোমান ও চাচা লুইস কারমেলো রোমানের সঙ্গে এক ঘরে থাকতেন। দুজনই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কদিন আগেই।
ফুটবল সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির করোনায় মৃত্যু এই প্রথম নয়। গত ১৫ মার্চ লিউকোমিয়া আক্রান্ত ফ্রান্সিসকো গার্সিয়াকে নিয়ে গেছে করোনাভাইরাস। মাত্র ২১ বছর বয়সী গার্সিয়া মালাগা অঞ্চলেওর অ্যাটলেটিকো পোরতাদা আলতার জুনিয়র দলের কোচ ছিলেন। আর ২৮ মে অ্যাস্টন ভিলার কোচ ডিন স্মিথের বাবা রন স্মিথও করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ৭৯ বছর বয়সী এই ভক্তের জন্য বেশ আবেগঘন এক বিবৃতি দিয়েছিল ক্লাবটি। করোনায় মারা গেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সভাপতি লরেঞ্জো সাঞ্জ।