কাঁপাকাঁপি এড়িয়ে জয় তুলল ইংল্যান্ড

জয়ের জন্য ৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রাতেও কাঁপছিল ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার আক্ষেপ হতেই পারে জয়ের লক্ষ্যটা যদি অন্তত ২০০ দেওয়া যেত! চতুর্থ দিন বিকেলে ১৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচটা জিতেছে ৭ উইকেটে।

শ্রীলঙ্কান দলের আক্ষেপ অনেক বিষয়েই। ব্যাটিং, ফিল্ডিং, উইকেটকিপিং। ‘ইশ্‌’, ‘যদি’—এই দুটি শব্দের কোনো স্থান নেই বাস্তবতার দুনিয়ায়। কিন্তু শ্রীলঙ্কানদের আক্ষেপ বর্ণনা করতে গিয়ে এ দুটি শব্দ আসবে বারবারই। ইশ্‌, যদি ব্যাটিংটা আরও ভালো হতো। যদি ফিল্ডিংটা আরও মানসম্মত হতো। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চতুর্থ দিন বিকেলে আলোর স্বল্পতার কারণে খেলা একটু আগেভাগে শেষ হয়ে যাওয়া নিয়েও। দিনের ৫ ওভার বাকি থাকতেই খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা—ওই ৫ ওভার যদি খেলা হতো, তাহলে...!

ওই ৫ ওভার খেলা হলে নিশ্চিত করেই আরও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারত ইংল্যান্ড। শুরুতেই এমবুলদেনিয়ায় আঘাত হেনেছিলেন। এনে দিয়েছিলেন জ্যাক ক্রলি ও ডন সিবলির উইকেট দুটি। এরপর আগের ইনিংসে ২২৮ রান করা অধিনায়ক জো রুট যখন বেয়ারস্টোর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে ফিরলেন, তখন জয়ের লক্ষ্য ৭৪ রানকে অনেক দূরেরই মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের কাছে। এমন অবস্থায় আলোর স্বল্পতার ‘বদান্যতা’য় দিন শেষ করা ইংল্যান্ড আজ রৌদ্রোজ্জ্বল পঞ্চম দিন সকালে বেয়ারস্টোকে বিরাট এক ধন্যবাদই জানাবে।

প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড থেমেছিল ৪২১ রান করেই। রুটের দ্বিশতক ছাড়া ইংলিশদের ইনিংসে তেমন কিছু ছিল না। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ড্যান লরেন্সের ৭৩। লঙ্কানদের আক্ষেপের শুরু তখন থেকেই। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল। থিরিমান্নের সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের স্বপ্নও দেখেছিল। কিন্তু পরের দিকে একমাত্র ম্যাথুস ছাড়া থিরিমান্নের ইনিংসের মর্যাদা দিতে পারলেন না কেউই। কোনোমতে তিন শ পার হলো দ্বিতীয় ইনিংসে। কিন্তু ইংলিশদের চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া গেল না। তবে চ্যালেঞ্জ কিছুটা জানানো গেছে। ওই স্পিনারদের দৌলতেই। কিন্তু আক্ষেপটা শেষ পর্যন্ত সঙ্গীই হয়েই থাকল শ্রীলঙ্কানদের।