কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি ও হাঁড়িভাঙা আমে মজেছেন স্প্যানিশ কোচ

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে কোচ অস্কার ব্রুজোনকে মাথায় তুলে নিলেন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা।
ছবি: প্রথম আলো

মধ্যদুপুরে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের আবাসিক ভবনের বেসমেন্টে মিষ্টি আর ফুলের সমারোহ। চারদিকে সেই মিষ্টি আর ফুলের ম–ম গন্ধ। কাল রাতে ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উৎসবের রেশটাই আজ পাওয়া যাচ্ছিল সেখানে। এমন অবস্থায় চ্যাম্পিয়ন কোচ অস্কার ব্রুজোনের মুখে কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি আর হাঁড়িভাঙা আমের গল্প।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন অস্কার ব্রুজোন। বসুন্ধরা কিংস, ব্রুজোন ও শিরোপা শব্দগুলো যেন বাংলাদেশের ফুটবলে সমার্থক হয়ে উঠেছে। ২০১৮ সালে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকেই বসুন্ধরার কোচ অস্কার ব্রুজোন। এখন পর্যন্ত ব্রুজোনের অধীনে একটি লিগসহ চারটি টুর্নামেন্ট খেলেছে করপোরেট ক্লাবটি। এর মধ্যে প্রথম ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ। এরপর একটি লিগসহ টানা তিনটি টুর্নামেন্টে ব্রুজোনের হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা।

পরিসংখ্যানই বলছে বাংলাদেশে ফুটবল নিয়ে ভালোই আছেন ব্রুজোন। ফুটবল ছাড়াও বাংলাদেশের খাদ্য ও সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছেন এই স্প্যানিশ। এরই মধ্যে প্রেমে পড়ে গেছেন কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি ও হাঁড়িভাঙা আমের। আজ ক্লাবে বসেই শোনালেন তাঁর সেই কাচ্চি প্রেমের গল্প, ‘প্রতি সপ্তাহে আমাকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেতেই হবে। এর সঙ্গে সবুজ বোরহানি। বসুন্ধরা এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে আমি খাবারগুলো কিনি। সেই রেস্টুরেন্টে আমি গেলেই তাঁরা বোঝেন, আমি বিরিয়ানি ও বোরহানি নিতে এসেছি। এখন আমার স্ত্রীও বিরিয়ানি পছন্দ করে।’

বিরিয়ানির পর ব্রুজোনের মুখে হাঁড়িভাঙা আমের প্রশংসা, ‘নীলফামারীতে খেলতে গিয়ে প্রথমে আমি এই আমটা খাই। খুব ভালো লেগে যায়। এরপর ক্লাবকে বলে দেওয়া হয় এই আমটা যেন আমার বাসায় সব সময় পাঠানো হয়। এখন খেতে পাচ্ছি না। শুনেছি, এটা হাঁড়িভাঙা আমের মৌসুম নয়।’

ব্রুজোন।
ফাইল ছবি

স্প্যানিশ কোচ হিসেবে এখানে সাফল্য পাওয়ার জাতিগত একটা ‘ওপেন সিক্রেট’ জানিয়ে দিলেন ব্রুজোন। বসুন্ধরার সাফল্যের পেছনে ভালো খেলোয়াড়, সাংগঠনিক দক্ষতা ও কোচিং কারিশমা তো আছেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল বৈশিষ্ট্য। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে এখন স্প্যানিশ কোচদের রাজত্ব চলছে। প্রতিবেশী ভারতের সর্বশেষ আইএসএলে অ্যান্থোনিও লোপেজ হাবাস আতলেতিকো ডি কলকাতাকে ও আই লিগে কিভু ভিকুনা চ্যাম্পিয়ন করেছেন মোহনবাগানকে। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে স্প্যানিশ কোচদের রাজত্বের পেছনে কি এ অঞ্চলে স্থানীয় পর্যায়ে নিচ থেকে আক্রমণে ওঠা ও বল পায়ে রেখে খেলার অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে?
ব্রুজোনের স্বীকারোক্তি, ‘হ্যাঁ, এ ধরনের খেলাই সঙ্গেই স্প্যানিশ কোচরা পছন্দ করেন। আমরা নিচ থেকে ধাপে ধাপে আক্রমণে উঠতে পছন্দ করি। বলের দখল রাখাটাও আমাদের প্রধান চরিত্র। শারীরিকভাবে পিছিয়ে থাকায় এ অঞ্চলের ফুটবলাররা বল পায়ে রেখে খেলতে পছন্দ করে। আমরাও সেভাবেই দলকে খেলাতে পছন্দ করি। প্রয়োজনে কার্যকরী ফুটবলটাও আমার জানা আছে।’

এ ছাড়া আরও অনেক বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রুজোন। সেটি পড়তে পারবেন আগামীকাল প্রথম আলোর প্রিন্ট সংস্করণে