কানটাই হারাতে বসেছিলেন শেখ জামালের ফুটবলার

ছবিটি পুরোনো। শেখ জামালের মনির হোসেন এখন কানে ২২ সেলাই নিয়ে মাঠের বাইরে।
ছবি: সংগৃহীত

‘ বাংলাদেশে শরীরনির্ভর ফুটবল বেশি হচ্ছে। খেলোয়াড়দের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে রেফারিদের। ’

কয়েক দিন আগেই প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় কথাটি বলেছিলেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বেলজিয়ামের কোচ পল পুট। গতকাল দেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হকের মুখেও শোনা গিয়েছে শরীরনির্ভর ফুটবলের সমালোচনা। এরই মধ্যে ফেডারেশন কাপে সাইফের প্রতিভাবান এক ফুটবলের পা ভেঙে গেছে। আরেক প্রতিভাবান ফুটবলার মনির হোসেন তো কানই হারাতে বসেছিলেন। বড় রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেও শেখ জামাল ধানমন্ডির ডিফেন্ডারের কানের পাশে সেলাই লেগেছে ২২টি।

২১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও শেখ জামাল। ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় মনিরের ক্লাব শেখ জামাল। সে ম্যাচের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধার বদলি স্ট্রাইকার মেহেদী হাসানের সঙ্গে বলের দখলের লড়াইয়ে গিয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন মনির। তখন মেহেদীর বুটের স্পাইকের পাড়া পড়ে তাঁর কানে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেলাই দেওয়া হয় ২২টি। বর্তমানে ক্লাবেই বিশ্রামে আছেন অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে খেলা এই রাইট ব্যাক।

প্রথম আলোকে মনির বলেন, ‘বুটের পাড়া পড়েছিল। মোট ২২টি সেলাই দিতে হয়েছে। ভেতরের অংশে ৬ টি আর ওপরে ১৬ সেলাই। একটুর জন্য কানটা নষ্ট হয়ে যায়নি। আমাকে কমপক্ষে ১০ দিনের বিশ্রামে থাকতে হবে।’ অর্থাৎ লিগে কয়েকটি ম্যাচ খেলা হচ্ছে না এই ডিফেন্ডারের।

ফুটবল খেলায় দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে বাংলাদেশে বেশি শরীরনির্ভর ফুটবল হওয়ায় খেলোয়াড়েরা মাঠে নিরাপদ নয় বলে মনে করেন ফুটবল কোচেরা। এ ক্ষেত্রে রেফারিদের আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান তাঁদের।