‘কান্নাকাটি করার কিছু নেই’

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।ফাইল ছবি

গত মার্চে নেপালে তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপালের কাছে হারের পর কোচ জেমি ডের ওপর নাখোশ হয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। চলতি মাসে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করছিল জেমির ভবিষ্যৎ। সে ফলাফলে সালাউদ্দিন খুশি না হলেও জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে জেমি থাকছেন, তা নিশ্চিত। আজ বাফুফে ভবনে জেমির সঙ্গে বৈঠক শেষে সালাউদ্দিনের কথাতেই তা ফুটে উঠেছে।

বাংলাদেশ দলে জেমির ভবিষ্যৎ কী? এমন প্রশ্নে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি যে চেয়ারটায় বসে আছি, এখানে বসে কোচকে নিয়ে কথা বলা যায় না। এটা নিয়ে বলার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক আছে। তবে এতটুকু বলতে পারি, জেমির সঙ্গে আমার চুক্তি আছে। সামনের এশিয়ান কাপ নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যে সে একটা পরিকল্পনা দেবে। সেটা দেখে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’ বাফুফের সঙ্গে জেমির চুক্তি ২০২২ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে।
ফাইল ছবি

বাছাইপর্বে ৮ ম্যাচ খেলে দুই ড্রয়ে বাংলাদেশের অর্জন ২ পয়েন্ট। এতে সরাসরি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব খেলার ছাড়পত্র পেলেও খুশি নন বলে জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন, ‘আমি কীভাবে খুশি হতে পারি? আবার অখুশিও না। যখন আমরা খেলতাম, জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শংকর (হাজরা) দা, এনায়েত ভাই (এনায়েতুর রহমান) এবং আমি সালাউদ্দিন মিলেও ১০–১১ গোল খেতাম। এখন ৫–৬টা খাই। গোল খাওয়ার সংখ্যা নেমে এসেছে। কিন্তু এই ফলে খুশি নই। আবার কান্নাকাটি করারও কিছু নেই।’

বাংলাদেশ দল।
ফাইল ছবি

৩৯ দলের মধ্যে ৩৫তম হওয়ায় পাওয়া গেছে সরাসরি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব খেলার ছাড়পত্র। অপ্রত্যাশিতভাবে সুযোগটা যখন এসেই গেছে, তখন ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে বাছাইপর্বে নামতে চান জেমি। সে জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির বাছাইপর্ব শুরুর আগে ৬টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চান তিনি।

কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে জেমি বলেন, ‘ভালো একটা মিটিং হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে একটি ভালো পরিকল্পনা করে কীভাবে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে একটা পরিকল্পনা জমা দেব। সামনে তিনটি ফিফা উইন্ডো আছে, সেগুলো ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাই। ফিফা উইন্ডোতে আমরা কমপক্ষে ৬টা ম্যাচ খেলতে চাই এবং সেগুলো সমমানের কিংবা ভালো মানের দলের বিপক্ষে।’

অনুশীলনে বাংলাদেশের ফুটবলারদের কিছু একটা বোঝাচ্ছেন কোচ জেমি ডে।
ফাইল ছবি

চাকরির ব্যাপারে চিন্তিত কি না? এমন প্রশ্নে জেমি বলেন, ‘আমার চেয়ে অন্যরা বেশি উদ্বিগ্ন। এই চাকরিতে সব সময় উত্থান-পতন থাকবে। এ নিয়ে আমার কোনো দুশ্চিন্তা নেই। বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়াই চিন্তা আমার। আমরা এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে কোয়ালিফাই করেছি। লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তবে আরও বেশি পয়েন্ট পেতে পারতাম। তবে এটা এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ অতি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে বলে সমালোচনা আছে। এ প্রসঙ্গে জামাল ভূঁইয়াদের কোচ বলেন, ‘ম্যাচগুলো যদি আমরা আক্রমণাত্মক খেলতাম, তাহলে হয়তো আরও বেশি ব্যবধানে হারতাম। মূল কথা হচ্ছে আমার হাতে কোন মানের খেলোয়াড় আছে, তার ওপর নির্ভর করে আমরা কী ধরনের ফুটবল খেলব।’