কিংসলির বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষা

এলিটা কিংসলি এখন বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু হাতে পাননি পাসপোর্ট।ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে নাম লিখিয়ে এখন পর্যন্ত একটি লিগ ও চারটি টুর্নামেন্টে খেলেছে বসুন্ধরা কিংস। নিজেদের প্রথম ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগসহ টানা তিনটি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। চলমান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বসুন্ধরা।

দেশ ছাপিয়ে করপোরেট ক্লাবটির চোখ এখন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। আরও স্পষ্ট করে বললে এএফসি কাপে। ১৪ মে মালদ্বীপে শুরু হবে এএফসি কাপ। এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টের জন্য আরও শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। এরই মধ্যে স্থানীয় ফুটবলার হিসেবে এএফসি কাপের জন্য এএফসিতে নাম পাঠানো হয়েছে কাতার যুব জাতীয় দলে খেলা কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশি ওবায়দুর রহমানের।

কিন্তু পাসপোর্ট না পাওয়ায় এলিটা কিংসলির নাম এখনো পাঠাতে পারেনি বসুন্ধরা। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৪ এপ্রিল ছিল নাম পাঠানোর শেষ তারিখ। বসুন্ধরা ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘পাসপোর্ট না হওয়ায় আমরা এলিটা কিংসলির নাম পাঠাতে পারিনি। দেশে চলমান লকডাউনের কারণে কিংসলির পাসপোর্ট প্রাপ্তির বিষয়টি পিছিয়ে গেছে।’

এলিটা কিংসলির পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষায় আছে বসুন্ধরা কিংস।
ফাইল ছবি

তবে এতটুকু পড়েই কিংসলি ও বসুন্ধরা সমর্থকদের মন খারাপ করার কারণ নেই। টুর্নামেন্ট শুরুর সাত দিন আগেও খেলোয়াড় বদল করার নিয়ম আছে। সে নিয়মেই চোখ রাখছেন বসুন্ধরার সভাপতি, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর সাত দিন আগে খেলোয়াড় বদল করা যায়। আশা করি এই সময়ের মধ্যে কিংসলির পাসপোর্ট হয়ে যাবে এবং তাঁর নাম নিবন্ধন করতে পারব।’

বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে গত বছর এএফসি কাপে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বসুন্ধরা। ঢাকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব টিসি স্পোর্টসকে ৫–১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। এএফসি কাপ রাঙাতে এবার আরও শক্তিশালী দল গড়েছে তারা। এএফসি কাপে খেলা মানে যে বাংলাদেশেরও প্রতিনিধিত্ব করা।