কোনো রকমে জিতে শেষ আটে উরুগুয়ে

বলিভিয়ার বিপক্ষে জয়ে শেষ আট নিশ্চিত হয়ে গেছে উরুগুযের।ছবি: রয়টার্স

কোপা আমেরিকার সবচেয়ে সফল দল উরুগুয়ে। ফুটবলের সবচেয়ে পুরোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটিতে সর্বোচ্চ ১৫ বার শিরোপা জিতেছে তারা। কিন্তু ২০১১ সালে সর্বশেষ শিরোপা জয়ের পর আর শেষ চারেই উঠতে পারেনি অস্কার তাবারেজের দল। আজ বলিভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে এবার অবশ্য শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে উরুগুয়ে। তবে লুইস সুয়ারেজ-এদিনসন কাভানিরা শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছেন কোনো রকমে।

এবারের কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় উরুগুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও গোল পাননি সুয়ারেজ বা কাভানি। উরুগুয়ের সমতাসূচক গোলটি ছিল চিলির আর্তুরো ভিদালের আত্মঘাতী। আজ বলিভিয়ার বিপক্ষে পাওয়া ২-০ গোলের জয়েও প্রথম গোলটিও ছিল আত্মঘাতী। ৭৯ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোলটি অবশ্য করেছেন কাভানি।

বলিভিয়ার বিপক্ষে উরুগুয়ে এগিয়ে যায় আতামঘাতী গোলে।
ছবি: রয়টার্স

বলিভিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে উরুগুয়ে। তবে সুয়ারেজ-কাভানির সমন্বয়ে গড়া আক্রমণ ভাগ সেভাবে আতঙ্ক ছড়াতে পারেনি বলিভিয়ার রক্ষণে। এর মাঝেও উরুগুয়ে বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করলেও কাভানি-সুয়ারেজের এলোমেলো ফুটবল খেলার কারণে তা গোলে পরিণত হচ্ছিল না।

ম্যাচের ৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়। কিন্তু গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি কাভানি। এমন সহজ সুযোগ কাভানি ১১, ২০ ও ২৭ মিনিটেও পেয়েছিলেন। কিন্তু কখনো তিনি বল মারেন সরাসরি গোলকিপারের হাতে, কখনো আবার পোস্টের বাইরে। গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি সুয়ারেজও।

বলিভিয়ার বিপক্ষে উরুগুয়ের দ্বিতীয় গোলটি করেন এদিনসন কাভানি।
ছবি: রয়টার্স

এভাবে গোলের সুযোগ মিস করার 'উৎসবে' নামার মাঝেই উরুগুয়ে গোল পেয়ে যায় ৪০ মিনিটে। কাভানির নেওয়া একটি শটই ঠেকাতে গিয়ে নিজের জালেই বল জড়িয়ে ফেলেন বলিভিয়ার গোলকিপার কার্লোস লাম্পে। উরুগুয়ের দ্বিতীয় গোলটি আসে ৭৯ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত থেকে ফাকুন্দো তোরেসের ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে যান কাভানি। এবার অবশ্য ভুল করেননি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার।

এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে উরুগুয়ে। ৩ ম্যাচ থেকে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া বলিভিয়ার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া বলতে গেলে নিশ্চিতই হয়ে গেছে।