কোপা দেল রে-ধাঁধার সমাধানই করতে পারছে না রিয়াল

কোপা দেল’রের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় রিয়াল মাদ্রিদেরছবি: রয়টার্স

গত ৩০ মৌসুমে মেরেকেটে মাত্র ছয়বার কোপা দেল রে-র ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জিতেছে মাত্র তিনবার। অন্য যেকোনো দলের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট স্বস্তি দিলেও রিয়াল তো আর দশটা ক্লাবের মতো নয়! গত ৩০ বছরে স্পেনের কাপ প্রতিযোগিতায় নিজেদের এই হাল যথেষ্টই চিন্তিত করে তুলতে পারে রিয়ালকে। চিন্তাটা আরও বেড়েছে গতকাল। কোপা দেল রে-র কোয়ার্টার ফাইনালে গতকাল অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ম্যাচ হারার পরই কোপাতে রিয়ালের এই ব্যর্থতার বিষয়টি যেন আরও বেশি চোখে পড়ছে!

‘মৌসুমের সবচেয়ে বাজে ম্যাচ’ খেলল রিয়াল মাদ্রিদ
ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে করিম বেনজেমা আর লুকা মদরিচের দুই গোলে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে কিছুদিন আগেই ২-০ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। গতকাল সে পরাজয়ের ‘শোধ’ ই তুলেছে বিলবাও। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে স্প্যানিশ উইঙ্গার অ্যালেক্স বেরেঙ্গেরের গোলেই নির্ধারিত হয় ম্যাচের ফল।

করিম বেনজেমা, দানি কারভাহাল, ফারলাঁ মেন্দির মতো মূল একাদশের একাধিক খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েই একাদশ সাজিয়েছিলেন রিয়াল কোচ আনচেলত্তি। রিয়ালের আক্রমণভাগে বেনজেমার ভূমিকা যে কতটা, তা কাল বোঝা গেছে। বেনজেমাহীন আক্রমণভাগ সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্প্যানিশ উইঙ্গার মার্কো আসেনসিও আর দুই ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো আর ভিনিসিয়ুসকে। বিলবাওর মাঠ সান মামেসে কেউই রিয়ালকে উদ্ধার করতে পারেননি।

এ যেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মধুর প্রতিশোধ
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বিলবাও। ডান পা দিয়ে নেওয়া মিডফিল্ডার দানি গার্সিয়ার দূরপাল্লার শট আটকে দিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন গোলকিপার থিবো কর্তোয়া। ২৬ মিনিটে রদ্রিগো গোল করার আরেকটি সুযোগ পেলেও তাঁর ডান পায়ের শটে পর্যাপ্ত জোর ছিল না, বিলবাওর গোলকিপার হুলেন আগিরেসাবালা সহজেই আটকে দেন সেটি। ৫০ মিনিটে টনি ক্রুসের হেডও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮০ মিনিটে ক্রুসের পাসে কাসেমিরো গোল করার সুযোগ পেলেও লাভ হয়নি।

৮৯ মিনিটে অ্যালেক্স বেরেঙ্গার গোলেই রিয়ালের সর্বনাশ
ছবি: রয়টার্স

গোল করার এতগুলো সুযোগ নষ্ট করার খেসারত রিয়াল দিয়েছে ৮৯ মিনিটে। মিডফিল্ডার মিকেল ভেসগার কাছ থেকে বল পেয়ে রিয়ালের সেন্টারব্যাক নাচো ফার্নান্দেসকে ‘নাচিয়ে’ বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে গোলমুখ খোলেন অ্যালেক্স বেরেঙ্গের। সে গোল আর শোধ করা হয়নি রিয়ালের। সঙ্গে এটাও নিশ্চিত হয়েছে, ভ্যালেন্সিয়া, রায়ো ভায়েকানো আর রিয়াল বেতিসের পর চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট কাটছে বিলবাও।

ম্যাচে রিয়ালের খেলার ধরন সমর্থকদের মনে যথেষ্ট বিরক্তির জন্ম দিলেও কোচ আনচেলত্তি নিজেদের পারফরম্যান্সে তেমন ঘাটতি দেখছেন না, ‘আমরা জানতাম, ম্যাচটা কঠিন হবে। জয় বিলবাওর প্রাপ্য ছিল কিন্তু আমার মনে হয় না মৌসুমে এটাই আমাদের সবচেয়ে বাজে ম্যাচ।’