কোপা দেল রের শিরোপা বার্সেলোনার

কোপা দেল রে শিরোপা হাতে বার্সেলোনার খেলোয়াড়েরা। ছবি: এএফপি
কোপা দেল রে শিরোপা হাতে বার্সেলোনার খেলোয়াড়েরা। ছবি: এএফপি
>
  • সেভিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়ে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
  • টানা চতুর্থবারের মতো কোপা দেল রে শিরোপা বার্সেলোনার।
  • বার্সার হয়ে সুয়ারেজ দুটি, মেসি-ইনিয়েস্তা-কুতিনহো একটি করে গোল করেন।

২০১৬ সালে একই মাঠে শিরোপা–নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেবার ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। শনিবার রাতের ফাইনালটা সে জন্যই সেভিয়ার কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার ম্যাচ হতে পারত। সেটা তো হলোই না, উল্টো ৫-০ গোলের বিশাল পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেভিয়া। সেভিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো কোপা দেল রের শিরোপা ঘরে তুলল বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচে বলতে গেলে পাত্তাই পেল না সেভিয়া। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যান ভালভার্দের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল হজম করে সেভিয়া। বার্সার হয়ে সুয়ারেজ দুটি, মেসি-ইনিয়েস্তা-কুতিনহো একটি করে গোল করেন। ১৯৮০ সালের পর কোপা দেল রে ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় এটি। সেবার রিয়াল শিরোপা জিতেছিল ৬-১ গোলের ব্যবধানে। 

বার্সার হয়ে শেষ ফাইনালে ট্রফি হাতে ইনিয়েস্তা। ছবি: রয়টার্স
বার্সার হয়ে শেষ ফাইনালে ট্রফি হাতে ইনিয়েস্তা। ছবি: রয়টার্স

পুরো ম্যাচে সেভিয়াকে নিয়ে ছেলেখেলা খেললেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়েরা। প্রথমার্ধের ১৪তম মিনিটে সেভিয়ার বুকে প্রথম ছুরি চালান লুইস সুয়ারেজ। কুতিনহোর পাস থেকে সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। এরপর বেশ কিছুক্ষণ আক্রমণাত্মক ফুটবলে সেভিয়ার রক্ষণকে হাঁপিয়ে তোলেন মেসি-সুয়ারেজরা। ৩১তম মিনিটে আর্জেন্টাইন গোলমেশিন মেসি দ্বিতীয় গোল করে স্কোরলাইন ২-০–তে নিয়ে যান। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা-জোর্দি আলবার সমন্বিত আক্রমণে থেকে পাস পান আর্জেন্টাইন তারকা। পরের গোলটির জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সা–সমর্থকদের। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন সুয়ারেজ। ডি-বক্সে ঢোকার মুখে বল নিজের পায়েই ছিল। সুবিধাজনক জায়গায় মেসিকে পেয়ে তাঁকে পাস দেন সুয়ারেজ। এরপর ডি-বক্সের ভেতরে সুয়ারেজকে ফিরতি পাস দেন মেসি। বল জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ।

বার্সার হয়ে দুই গোল করা লুইস সুয়ারেজের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স
বার্সার হয়ে দুই গোল করা লুইস সুয়ারেজের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স

প্রথমার্ধে ইনিয়েস্তার একটা শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এরপর একবার অফসাইডের ফাঁদে আরেকবার ফাউলের শিকার হন মেসি। এসব না হলে প্রথমার্ধেই গোলের সংখ্যা হয়তো আরও বাড়ত।

ছেলেকে নিয়ে মেসির উদ্‌যাপন। ছবি: রয়টার্স
ছেলেকে নিয়ে মেসির উদ্‌যাপন। ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই গোলের নেশায় পেয়ে বসে স্প্যানিশ জায়ান্টদের। বার্সার হয়ে নিজের শেষ ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখতে একটা গোল যে দরকার ছিল ইনিয়েস্তার। সে জন্যই কিনা ৫২তম মিনিটে গোল করেন এই স্প্যানিশ তারকা (৪-০)। এবারও বল বানিয়ে দেন মেসি। ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে সেভিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন কুতিনহো। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান ৫-০–তে নিয়ে যান কুতিনহো। এর আগে ৫৪তম মিনিটে পরপর দুবার সুয়ারেজ ও উমতিতির শট আটকে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক সোরিয়া। তা না হলে নিশ্চিতভাবেই গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।