ক্যানসার ছাড়ছে না পেলেকে

ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেফাইল ছবি

ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে গত মাসেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। কোলনে টিউমারের চিকিৎসার কারণে চিকিৎসা নেন সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে।

অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় কয়েক দিন পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কোলন টিউমার নিয়েই চিকিৎসার জন্য সাও পাওলোর এ হাসপাতালে দুই দিন থাকার পর কাল ছাড়া পেয়েছেন তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি।

৮১ বছর বয়সী পেলের শরীর থেকে গত বছর কোলন টিউমার অপসারণ করা হয়। এর পর থেকে কেমোথেরাপি নিয়ে আসছিলেন তিনি।

পেলে গত বুধবার ভর্তি হন আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, পেলেকে ‘বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং শারীরিকভাবে তিনি স্থিতিশীল আছেন’।

খেলাধুলার টিভি নেটওয়ার্ক ইএসপিএন এর আগে জানিয়েছিল, সান্তোস ও নিউইয়র্ক কসমসের সাবেক এ খেলোয়াড়ের অন্ত্র ও যকৃৎয়ে টিউমার ধরা পড়েছে এবং ফুসফুসে আরেকটি টিউমার বেড়ে উঠছে। শরীরে আর কোথাও ক্যানসার বাসা বেঁধেছে কি না, সেটি নিশ্চিত হতেই হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে পেলেকে।

সাম্প্রতিক সময়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন পেলে
ছবি: রয়টার্স

আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের পক্ষ থেকে শুধু পেলের ‘কোলন টিউমার’-এর চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে পেলের ব্যবসায়িক ম্যানেজার ইএসপিএনের প্রতিবেদনের বিষয় অস্বীকার কিংবা স্বীকার করেননি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শরীর থেকে কোলন টিউমার অপসারণ করেন পেলে।

এরপর বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হয় তাঁকে। কেমোথেরাপি নিতে গত মাসে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২৩ ডিসেম্বর ছাড়া পান সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মাঝেমধ্যেই শারীরিক সমস্যায় পড়ছেন পেলে। হাঁটতে অসুবিধা হওয়ায় এর আগে কোমরে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি। জনসমক্ষে সেভাবে না এলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি।

এবার হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পরপরই ব্রাজিলের কিংবদন্তি সাম্বা গায়িকা এলজা সোয়ারেসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন পেলে। কাল মারা যান বিবিসি রেডিওর জরিপে টিনা টার্নারের সঙ্গে এই সহস্রাব্দের সেরা গায়িকার খেতাব ভাগ করে নেওয়া সোয়ারেস।

পেলের প্রয়াত সাবেক সতীর্থ মানে গারিঞ্চার স্ত্রী ছিলেন এলজা সোয়ারেস। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপে সতীর্থ ছিলেন গারিঞ্চা ও সোয়ারেস। ব্রাজিলের ’৬২ বিশ্বকাপ জয়ে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন গারিঞ্চা।

সোয়ারেসকে নিয়ে নিজের পোস্টে পেলে লিখেছেন, ‘চলে যাওয়ার আগপর্যন্ত গান গাওয়ার প্রতিশ্রুতিটা তার গানেই ছিল। এলজা আজ বিদায় বলে দিল। কাকতালীয়ভাবে একই দিন—২০ জানুয়ারি—যেদিন গারিঞ্চাও আমাদের ছেড়ে গেছে। আমাদের সংগীত ও ইতিহাসের কিংবদন্তি। আজ সে চলে গেলেও ব্রাজিলিয়ানদের হৃদয়ে চিরকাল থাকবে।’