ক্যানসার আক্রান্ত শিশুকে সাহায্য করলেন রোনালদো

রোনালদো।ছবি: এএফপি

ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবল তারকা তিনি। বছরের পর বছর ধরে কামাচ্ছেন দুহাতে। তাই বলে রোনালদোর মনে কি অসহায়দের আর্তি সাড়া ফেলে না?

অবশ্যই ফেলে। না হলে এভাবে সব সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন কেন? হয়তো এখন যত বড়ই হন না কেন, নিজের দারিদ্র্যময় শৈশবের কথাও মনে হয় সব সময়। আজকের এই রোনালদো হওয়ার আগে তো দারিদ্র্যের কশাঘাতে পর্যুদস্ত ছিলেন তিনি নিজেও। খাওয়া জুটত না, ছিল না আরাম করে একটু থাকার জায়গা। তাই এত সফল মানুষ হওয়ার পরেও রোনালদো অসহায়দের কষ্ট ঠিকই বোঝেন। যার সর্বশেষ উদাহরণ—বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত ছোট্ট এক পর্তুগিজ শিশুর চিকিৎসার জন্য অর্থসাহায্য করেছেন রোনালদো ও তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ।

জর্জিনার সঙ্গে রোনালদো।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সাত বছর বয়সী পর্তুগিজ শিশু টমাস বিরল নিউরোব্লাস্টোমা ক্যানসারে আক্রান্ত। পর্তুগালের মোটামুটি সবাই এই শিশু সম্পর্কে জানেন। গত বছরের অক্টোবরে টমাসের ক্যানসার আবারও ফিরে আসে। ফলে শিশুটির মা–বাবা অস্ত্রোপচারের জন্য অর্থসাহায্যের আর্তি জানান। জানা গেছে, সেই আর্তি শুনে এগিয়ে এসেছেন খোদ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। টমাসের চিকিৎসার ব্যয়ভারের একাংশ বহন করবেন এই পর্তুগিজ তারকা। জর্জিনার বোন ইভানা জানিয়েছেন খবরটা।

ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে ইভানা টমাসের মা–বাবার একটা বার্তা পোস্ট করেছেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘আর্তমানবতার জন্য যাঁরা এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। জর্জিনা ও ক্রিস্টিয়ানো, তোমাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য, সাহায্য করার জন্য। টমাস যাতে চিকিৎসা পেতে পারে, এ জন্য তোমাদের এই সাহায্য আমরা কখনো ভুলব না।’

রোনালদো পরিবার।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

টমাসকে এখন বার্সেলোনার বিখ্যাত ডি’হেব্রন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

আর্তমানবতার সাহায্যে রোনালদো এই প্রথমই কিন্তু এগিয়ে এলেন না; সেভ দ্য চিলড্রেন, ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ডভিশনের দূত রোনালদো করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর নিজের মুখপাত্র হোর্হে মেন্দেসের সঙ্গে মিলিত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ১০ লাখ পাউন্ড দান করেছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালে উয়েফা টিম অব দ্য ইয়ারে জায়গা পাওয়ার সুবাদে পাওয়া ৮৯ হাজার পাউন্ড দান করেছিলেন রেডক্রসে।