ক্লাসিকোর স্বপ্ন পূরণ হতে দিল না রিয়াল

রাউল গার্সিয়া মানুষটা যে রিয়াল মাদ্রিদকে খুব একটা পছন্দ করেন, সেটা বলা যাবে না।

আগে রিয়ালের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী আতলাতিকোর অধিনায়ক ছিলেন। ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় সেখানেই কাটিয়েছেন। রিয়াল-বিদ্বেষের শুরুটা সেখানেই। ২০১৪ সালে রিয়ালের মাঠে রিয়ালকেই সুপারকোপার ফাইনালে হারিয়ে দেওয়ার পেছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। এখন আতলেতিকো ছেড়ে অ্যাথলেটিক বিলবাওতে যোগ দিয়েছেন, তা–ও রিয়ালের প্রতি অনুভূতিটা একই আছে। একটু গা-জোয়ারি খেলতে পছন্দ করেন, রিয়ালের বিপক্ষে নিজের সেই ‘বিধ্বংসী’ ভাব কোনোভাবেই লুকিয়ে রাখতে পারেন না যেন। কিছুদিন আগে লিগ ম্যাচেই যেমন, রিয়ালের বিপক্ষে এতটাই গা-জোয়ারি খেলা শুরু করে দিয়েছিলেন যে প্রথমার্ধেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ৩৪ বছর বয়সী এই তারকাকে। সেই ব্যর্থতার মাশুল কড়ায়-গন্ডায় নিলেন যেন গত রাতে।

রাউল গার্সিয়ার জোড়া গোলেই সুপারকোপার সেমি ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় করে দিয়েছে বিলবাও। রিয়াল হেরেছে ২-১ গোলে। ফলে সমর্থকদের একটা বাড়তি এক ক্লাসিকো দেখার স্বপ্ন ভেঙে গেছে। সুপারকোপার ফাইনালে এখন বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে বিলবাও।

রাউল গার্সিয়াই ‘খুন’ করলেন রিয়ালকে।
ছবি: রয়টার্স

সাধারণত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা এই স্প্যানিশ তারকা গত রাতে খেলেছিলেন দুই স্ট্রাইকারের একজন হিসেবে। আর তাতেই কিস্তিমাত করেছেন। ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় বিলবাও। বাঁ প্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার দানি গার্সিয়ার ডিফেন্সচেরা এক পাস ধরে ডান পায়ের দুর্দান্ত প্লেসমেন্টে ম্যাচের প্রথম গোলটা করেন রাউল গার্সিয়া।

ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ডি-বক্সে রাউলকে আচমকা ফেলে দেন রিয়ালের লুকাস ভাসকেজ। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন এই তারকা। ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে ব্যবধান কমালেও ভাগ্য বদলাতে পারেননি রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। এই ম্যাচে শুরু থেকে খেলেছিলেন বেলজিয়ান তারকা এদেন হ্যাজার্ড। লাভ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাঁকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন কোচ জিনেদিন জিদান। শেষ দিকে মার্কো আসেনসিওর এক শট বারে লেগেছে, যা রিয়াল সমর্থকদের আফসোসই বাড়িয়েছে।

আগামী সোমবার সুপার কাপের শিরোপার জন্য লড়বে বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাও।