গতির ঝড় তুলে আট ম্যাচে ৮ লাখ আয় উমরানের

উমরান মালিক গতির ঝড় তুলছেন আইপিএলেছবি: আইপিএলে

‘একদিন ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করব।’

স্বপ্নটা উমরান মালিকের। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে উঠে আসা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পেসার। কাল আইপিএলে গুজরাট লায়নসের রশিদ খান ও রাহুল তেওয়াতিয়া শেষ ওভারে ভেলকি দেখানোর আগে উমরানের গতিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল সানরাইজার্স। গুজরাটের হারানো ৫ উইকেটের সব কটি উমরানের। গতি ও ভালো লাইন-লেংথের মিশেলে উমরানের বোলিং দেখে টুইট করেন ভারতের খ্যাতিমান ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে, ‘জম্মুতে কিছু স্কাউট পাঠানো হোক। সে (উমরান মালিক) যেখান থেকে এসেছে, সেখানে অবশ্যই তার মতো আরও অনেকে আছে।’

গুজরাটের ইনিংসে অষ্টম, দশম, চৌদ্দতম ও ষোলোতম ওভারে উইকেটগুলো নেন উমরান। সব কটি ডেলিভারিই ছিল ঘণ্টায় ১৪৪ কিমির ওপরে। এর মধ্যে ঋদ্ধিমান সাহার স্টাম্প উপড়েছেন ঘণ্টায় ১৫২ কিমি গতির ডেলিভারিতে। হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া বাকি চারজনকেই বোল্ড আউট করেন উমরান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসেবে কোনো দলের ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন উমরান, যেখানে আর কেউ উইকেট নিতে পারেননি। তবে উমরানের বোলিং দেখার সবচেয়ে বড় মজাটা হলো গতি। কাল ১৫২.৮ কিমি গতিতে বল করে ম্যাচে দ্রুততম ডেলিভারিটি করেন ২২ বছর বয়সী এই পেসার। এর মধ্য দিয়ে আবারও ম্যাচে দ্রুততম ডেলিভারির জন্য ১ লাখ রুপির চেক পান উমরান। এ নিয়ে টানা ৮ ম্যাচে দ্রুততম ডেলিভারির জন্য মোট পেলেন ৮ লাখ রুপি।

৮ ম্যাচে ৮ লাখ টাকা আয় করেছেন উমরান
ছবি: আইপিএল

ভারতের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার ম্যাচে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় দাবি তোলেন, উমরানকে ইংল্যান্ড সফরে ভারতের জাতীয় দলে নেওয়া হোক। তাঁকে কোনো ম্যাচে না নিলেও চলবে। শুধু মোহাম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা ও উমেশ যাদবদের সঙ্গে থাকতে দেওয়া হোক। তাতে অভিজ্ঞতাও হবে বলে মনে করেন গাভাস্কার।

তবে গতি বাড়ানোর চেয়ে আগে নিজের লাইন-লেংথ ঠিক করতে চান উমরান। কাল ম্যাচ শেষে বললেন, ‘আমি আগে ঠিক জায়গায় বল করতে চাই। সৃষ্টিকর্তা চাইলে একদিন ১৫৫ কিমির বেশি গতিতে বল করতে পারব।’ আইপিএলে এবার ৮ ম্যাচে ১৫.৯৩ গড়ে ১৫ উইকেট নিয়েছেন উমরান।

এবার আইপিএলে ক্রিকইনফোর পণ্ডিত হিসেবে কাজ করা ক্রিকেটার ক্রিস লিন মনে করেন, উমরান ভারত জাতীয় দলের অংশ হতে প্রস্তুত, ‘বাইরে থেকে দেখে তো মনে হয় সে অবশ্যই প্রস্তুত। তবে কাকে বাদ দিতে হবে সেটা নিয়েও ভাবতে হবে, কারণ, (ভারতের) বোলিং লাইনআপ দুর্দান্ত। কিন্তু আমি তাকে (উমরান) বিশ্বকাপে দেখতে চাই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ পেলে সে ঝড় তুলবে। ভাগ্য ভালো যে আমি ভারতের নির্বাচক নই।’