গার্দিওলাকে টাকার খোঁচা

ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাছবি: টুইটার

পেপ গার্দিওলার সঙ্গে সের্জিও কনসেইকাওয়ের উত্তপ্ত সম্পর্ক নতুন কিছু না। পোর্তো কোচের সঙ্গে এর আগেও বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ।

কম যান না পোর্তো কোচও। মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ শেষে পর্তুগিজ ক্লাবটির খেলার ধরনে বিরক্তি প্রকাশ করেন গার্দিওলা। তা শুনে সিটি কোচকে টাকার খোঁচা মেরেছেন কনসেইকাও।

‘সি’ গ্রুপ থেকে সেদিন পোর্তোর মাঠে গোলশূন্য ড্র করে সিটি। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখে গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়েছে ইংলিশ ক্লাবটির। শেষ ষোলোও নিশ্চিত হয়েছে দুই দলের। গত অক্টোবরে সিটির মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছিল পোর্তো। সে ম্যাচের পর কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই দলের কোচ।

পোর্তোর মাঠে জয়বঞ্চিত হওয়ার পর স্বাগতিকদের খেলার ধরন নিয়ে সমালোচনা করেন গার্দিওলা। পোর্তোর রক্ষণাত্মক, নেতিবাচক ফুটবলে হতাশ ছিলেন তিনি।

সিটি কোচের এমন মন্তব্য কনসেইকাওয়ের কানে যাওয়ার পর তিনি চুপ করে থাকবেন কেন! পেট্রো ডলারসমৃদ্ধ সিটির কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার গৌরবকে এক হাত নিয়েছেন পোর্তোর এ কোচ। গার্দিওলাকে খোঁচা মেরে তিনি বলেন, ‘সে কি হতাশ? আমিও হতাম যদি এমন দল আর বাজেট নিয়ে জিততে না পারতাম।’

অক্টোবরে সিটির কাছে হারের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ চার ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি পোর্তো। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা টেবিলের দুইয়ে। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিটি।

খেলোয়াড়দের প্রশংসা করলেন পোর্তো কোচ, ‘কয়েক বছর ধরে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করেছি এবং তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় উঠেছি। সেটিও ক্লাবের সোনালি সময়ে নয়, এই সময়টা কঠিন। তাই খেলোয়াড়দের প্রাপ্য প্রশংসা করতে হবে। পোর্তোর মতো ক্লাবের সুনাম ধরে রাখতে বুদ্ধিমান ও কুশলী হতে হয়। অনেক খেলোয়াড় এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলছে। তাদের প্রশংসা করতেই হবে।’

পোর্তো কোচ সের্জিও কনসেইকাও
ছবি: টুইটার

সিটিতে এ নিয়ে চার মৌসুম চলছে গার্দিওলার। এ সময় খেলোয়াড় কিনতে তিনি দলবদলের বাজারে ঢেলেছেন ৬৩৬ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার ৫৯ কোটি টাকা)। কিন্তু দুবার প্রিমিয়ার লিগ জয় ছাড়া ইউরোপে কোনো সাফল্য পাননি সিটি কোচ।

গত বছর উয়েফার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, স্কোয়াড গড়তে খেলোয়াড়দের দলবদলে ১০০ কোটি ইউরোর বেশি অর্থ খরচ করেছে সিটি।

এমন ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করাকে কঠিন পথ পাড়ি দেওয়াই মনে করছেন কনসেইকাও, ‘শুধু পোর্তো নয়, অন্য দলগুলো যখন সিটির মতো কারও মুখোমুখি হয়, তখনো পরিস্থিতিটা এমন। তারা (সিটি) সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল দল। ফার্নান্দিনহোর (সিটির খেলোয়াড়) তাই হতাশ লাগাই স্বাভাবিক। কারণ তাদের বাজেটের এক-দশমাংশ নিয়ে দল গড়া প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় না পাওয়াটা হতাশার।’