গার্দিওলাকে ম্যান সিটিরই সমর্থকদের পরামর্শ—নিজের চরকায় তেল দাও

ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাছবি: এএফপি

কে মাঠে খেলা দেখতে এসেছে, কে বাড়িতে বসে আছে, কোন সমর্থক দলের গোলে লাফিয়ে উঠল না কিংবা কোন সমর্থক দলের হারে কাঁদল না—এসব দিকে নজর না দিয়ে পেপ গার্দিওলাকে কোচিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকেরা।

তা হঠাৎ করে প্রিয় দলের তারকা কোচের ওপর চটে গেলেন কেন ম্যান সিটির সমর্থকেরা! নাহ্‌, তেমন কোনো জটিল বিষয় নয়। গার্দিওলা ম্যান সিটির সমর্থকদের ওপর একটু অভিমান করেছিলেন। সেই অভিমান থেকে একটা বেফাঁস মন্তব্যও করে বসেছিলেন তিনি। ম্যান সিটির সমর্থকেরা গার্দিওলার সেই অভিমানের অনেকটা চাঁছাছোলা জবাবই দিয়েছেন।

চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার সিটি-লাইপজিগ ম্যাচ চলার সময়ে দৃশ্যমান ছিল পেছনে গ্যালারির ফাঁকা আসন
ছবি: রয়টার্স

ঘটনাটা গত বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে লাইপজিগের বিপক্ষে ম্যান সিটির ম্যাচকে ঘিরে। নিজেদের মাঠ ইতিহাদে লাইপজিগকে ৬–৩ গোলে হারিয়েছে ম্যান সিটি। ম্যাচটি দেখতে ইতিহাদে উপস্থিত ছিল মাত্র ৩৮ হাজার সমর্থক। অথচ ইতিহাদের আসনসংখ্যা ৫৪ হাজার।

গ্যালারির বিভিন্ন দিকে ফাঁকা আসন দেখে ভালো লাগেনি গার্দিওলার। ম্যাচ শেষে তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ করে বলেছিলেন, দলকে আরেকটু ভালো করে সমর্থন করুন

গার্দিওলার এই মন্তব্য খুব একটা পছন্দ হয়নি ম্যান সিটির সমর্থকদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই কোচের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। ম্যান সিটির অফিশিয়াল সমর্থক গোষ্ঠীর মহাপরিচালক কেভিন পার্কার তো সরাসরিই বলে দিয়েছেন—গার্দিওলার উচিত কোচিংয়ে মনোযোগ দেওয়া।

রোমাঞ্চ ছড়ানো লাইপজিগ-সিটি ম্যাচ গোল দেখেছে ৯টি
ছবি: রয়টার্স

গার্দিওলার অমন মন্তব্যে একটু বিস্মিতও হয়েছেন পার্কার, ‘তিনি হয়তো বুঝতে পারেননি বুধবার রাত ৮টায় মাঠে এসে খেলা দেখাটা কিছু মানুষের জন্য একটু কঠিন। তাঁদের ছেলেমেয়েদের সামলানো নিয়ে ভাবতে হয়। এ ছাড়া কোভিডের সমস্যা আছে। তাঁরা (সমর্থকেরা) হয়তো এসব কারণে মাঠে আসতে পারেননি...আমি বুঝতে পারছি না কেন তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।’

কোচিংয়ে গার্দিওলার দক্ষতা নিয়ে অবশ্য কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশই রাখেননি পার্কার, ‘নিঃসন্দেহে তিনি বিশ্বের সেরা কোচ। আমি খুব বিনয়ের সঙ্গেই বলছি, আমার মনে হয় তাঁর কোচিং নিয়েই ভাবা উচিত।’

ম্যান সিটি আবার মাঠে নামবে আগামীকাল, ইতিহাদে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সাউদাম্পটন। সেই ম্যাচে গ্যালারি ভরা থাকবে বলেই মনে করেন পার্কার। গার্দিওলার চাওয়াতে দোষের কিছু নেই জানিয়েও তাই পার্কার বললেন, ‘অবশ্যই তিনি ভরা গ্যালারি চাইতে পারেন। কিন্তু সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ম্যাচটা না দেখেই কেন তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন, বুঝতে পারছি না।’

ঘরের মাঠে শনিবারের ম্যাচে কী হয়, সে বিষয়ে পার্কার বলেছেন, ‘আমরা (মৌসুমে পর্যন্ত) দুটি শনিবারে ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলেছি। সিটির দিক থেকে দুটি ম্যাচেই ভরা গ্যালারি ছিল। আমি মনে করি না ক্লাবের মধ্যের কারও সমর্থকদের বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত। এটা হতাশাজনক।’