গেমস খেলে করোনার বিরুদ্ধে আদায় দেড় লাখ ইউরো

আসেনসিওই জিতলেন লা লিগা ফিফা-২০। ছবি: টুইটার
আসেনসিওই জিতলেন লা লিগা ফিফা-২০। ছবি: টুইটার

এ মৌসুমে এর মাঝেই একটি ট্রফি নিয়ে শিরোপা উৎসব করা হয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদের। কিন্তু চোটের কারণে স্প্যানিশ সুপার কাপ খেলার সুযোগ হয়নি মার্কো আসেনসিওর। নিজেই তাই শিরোপা উৎসব করার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। গতকাল লা লিগা ফিফা ২০ নামে টুর্নামেন্টে রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে খেলে শিরোপা জিতেছেন আসেনসিও।

করোনাভাইরাসের বিপক্ষে যুদ্ধে এক লাখ ইউরো জোগাড়ের জন্য ইউটিউব তারকা ইবাই লানোস এক টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন। ভিডিও গেম ফিফায় এক টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয়েছে লা লিগার দলগুলো। আর প্রতিটি দলের হয়ে খেলেছেন সে দলেরই কোনো ফুটবলার।

রিয়াল মাদ্রিদের সে দায়িত্ব ছিল মার্কো আসেনসিওর। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন তাঁর বন্ধু মার্কোস ইয়োরন্তে। রিয়াল সোসিয়েদাদের হয়ে খেলেছেন আদনান ইয়ানুজাই। বার্সেলোনার পক্ষ থেকে গেম প্যাড হাতে নেওয়ার কথা ছিল সার্জি রবার্তোর। কিন্তু ভিডিও গেমস ফিফার প্রতিদ্বন্দ্বী পিইএস বার্সেলোনার স্পনসর বলে মহান এই কাজে শেষ পর্যন্ত দেখা যায়নি কাতালানদের কাউকে। একই কারণে রিয়াল মায়োরকাও আগেই নাম কাটিয়ে নিয়েছিল।

বার্সেলোনা না থাকলেও দর্শকের কমতি হয়নি। ফুটবলবিহীন জীবনে বুভুক্ষুর মতো ভিডিও গেমস দেখতেই হাজির হয়েছেন সবাই। প্রাথমিক লক্ষ্য ১ লাখ ইউরো হলেও ফাইনালের আগেই ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি ইউরোর জোগাড় হয়ে গেছে। আর এখানে আসেনসিও দেখিয়েছেন শুধু পায়েই দক্ষ নন, গেম প্যাড হাতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ফাইনালে লেগানেসের আইতর রুইবালকে ৪-২ গোলে হারিয়েছেন।

এর আগে টুর্নামেন্টের শুরুতেই নিজের গোল ক্ষুধা দেখিয়েছেন মার্কো আসেনসিও। শেষ ষোলোতে গ্রানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে ভিয়ারিয়ালে মানু মোরলানেসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সেমিফাইনালেই দেখিয়েছেন নিজের আসল দক্ষতা। এইবারের এদু এক্সপাসিতোকে দিয়েছেন ৭ গোল। বার্সেলোনা যদি টুর্নামেন্ট থেকে সড়ে না দাঁড়াত তবে এই এদুর সঙ্গে শেষ ষোলোতে খেলতেন সার্জি রবার্তো। মূল লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলেই খুশি আসেনসিও, ‘এটা খেলে খুব ভালো লেগেছে এবং সব দিক থেকেই দারুণ এক টুর্নামেন্ট ছিল।’

এ টুর্নামেন্ট দিয়ে জিনেদিন জিদানের জন্য একটা বার্তাও দিয়েছেন আসেনসিও। আর সেটা হলো চোট থেকে ফিরলে তাঁকে কোথায় খেলানো উচিত। তাঁর একাদশ এমনিতেও আগ্রহ জন্মিয়েছিল। প্রথম একাদশে বেনজেমাকে না খেলিয়ে খেলিয়েছেন গ্যারেথ বেলকে। আবার লেফট ব্যাক হিসেবে মার্সেলোকে বসিয়ে নামিয়েছেন মেন্দিকে। অবশ্য জিনেদিন জিদান নিজেই ইদানিং এ কাজ করছেন। আর বেল-হ্যাজার্ডকে সামনে রেখে ‘ফলস নাইন’ হিসেবে নিজেকে নামিয়েছেন আসেনসিও। ইঙ্গিতটা পরিষ্কার, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শেষ হতে হতে চোট কাটিয়ে উঠবেন তিনি। হ্যাজার্ডও ফিরবেন তত দিনে। সে ক্ষেত্রে এ দুজনের রসায়ন ঠিক রাখার ফরমেশনটা বোধ হয় এভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন আসেনসিও।