ঘরোয়া খেলায় কেন জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়?

মেজর লিগ সকারে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ছবি: টুইটার
মেজর লিগ সকারে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ছবি: টুইটার

ফুটবল কোচ হিসেবে উত্তর আমেরিকায় ভীষণ শ্রদ্ধেয় ব্রুস অ্যারেনা। যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। আছে পাঁচটি এমএলএস ট্রফি জয়ের নজির। বর্তমানে নিউ ইংল্যান্ড রেভোল্যুশনের এ কোচ প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন পেশাদার লিগে দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে। তাঁর মতে, এটা অনুচিত। অপ্রাসঙ্গিক।

বর্ণবাদবিরোদী প্রতিবাদের ঢেউ এখনো থামেনি যুক্তরাষ্ট্রে। কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদের ঢেউ লাগে যুক্তরাষ্ট্র ফুটবলেও। দেশটির ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় খেলোয়াড়দের হাঁটু গেড়ে বসার যে প্রথা বাতিল করা হয়েছিল তা ফিরিয়ে আনা হবে। ভোটাভুটিতে তা পাকা হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের ফুটবল না দেখার হুমকি দেন।

কিন্তু ব্রুস অ্যারেনা প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাস্ট্রের পেশাদার ক্রীড়া ইভেন্টে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর যৌক্তিকতা নিয়ে। ইএসপিএনকে তিনি বলেন, 'আমার প্রশ্ন, দেশের পেশাদার ক্রীড়া ইভেন্টে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় কেন...এটা সবাইকে বেমানান পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়। আমরা সিনেমা হলে কিংবা নাটকের মঞ্চে কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে কিন্তু বাজাই না। এমএলএস (মেজর লিগ সকার) কিংবা বেসবল ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো উচিত, তা আমি মনে করি না।'

এমএলএসে খেলা অনেক ফুটবলারের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, ডেভিড বেকহাম, ওয়েইন রুনি কিংবা স্টিভেন জেরার্ডের মতো তারকারা খেলে গেছেন। এখন ক্রিস্টিয়ান পাভন, হাভিয়ের হার্নান্দেজ, কার্লোস ভেলারা তো আছেনই। অ্যারেনার ভাষ্য, 'এমএলএসে মাঠের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই বাইরের (আন্তর্জাতিক)। তারা আমেরিকান নয়, তাহলে আমরা জাতীয় সঙ্গীত বাজাই কেন? আমি আসলে বিষয়টি বুঝতে চাই। নিজেকে দেশপ্রেমিক বলেই মনে করি। কিন্তু মনে হয় এটা অনুচিত। এখন বিষয়টি আরও বড় আকার ধারণ করেছে।'

হাঁটু গেড়ে বসার প্রথা ফিরিয়ে আনার আরেকটি অর্থ আছে। জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় দাঁড়িয়ে থাকাটা আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল ফেডারেশন মনে করে এটি ভুল এবং কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।