চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে এসে উল্টো লিগ হারালেন রোনালদো

চ্যাম্পিয়নস লিগ হারিয়েছেন, পাচ্ছেন না লিগ শিরোপাও।ছবি: রয়টার্স

আজ আতালান্তা বনাম সাসসুয়োলো ম্যাচটা বড় আগ্রহভরে দেখার জন্য টিভি সেটের সামনে বসবেন রোমেলু লুকাকু, লাওতারো মার্তিনেজ, আন্তোনিও কন্তেরা। নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করে বসে আছেন, এখন অপেক্ষা আতালান্তার পা হড়কানোর। আজ সাসসুয়োলোর বিপক্ষে আতালান্তা ড্র করলে বা হারলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে ১০ বছর পর সিরি ‘আ’ শিরোপা জুভেন্টাস ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবে যাওয়ার ব্যাপারটি। আর সেই ক্লাব হচ্ছে লুকাকু-মার্তিনেজ-কন্তেদের ইন্টার মিলান।

গত রাতে ড্যানিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন ও মরোক্কান ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমির গোলে ক্রোতোনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার। ৩৪ ম্যাচ শেষে ৮২ পয়েন্ট হয়ে গেছে তাদের। আজ আতালান্তা ড্র করলে বা হারলে ৩৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট হবে সর্বোচ্চ ৬৯। পরের চার ম্যাচে জিতলেও তখন ইন্টার চলে যাবে তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে আজকে শিরোপা নিশ্চিত না হলেও পরের ম্যাচগুলো থেকে ন্যূনতম এক পয়েন্ট পেলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে ইন্টারের। নয় বছর পর লিগের লড়াইয়ে জুভেন্টাসের আধিপত্যেরও অবসান হবে তাতে। আর এটি হচ্ছেও আন্তোনিয়ও কন্তের হাত দিয়ে। যিনি এক দশক আগে সিরি ‘আ’তে জুভেন্টাস আধিপত্যের শুরুটা করে দিয়েছিলেন।

সব হারাচ্ছেন রোনালদো।
ছবি: রয়টার্স

অথচ ঘরোয়া লিগে একের পর এক শিরোপা জেতা জুভেন্টাসের লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে দলে টেনেছিল তাঁরা। কিন্তু রোনালদো আসার পরেও চ্যাম্পিয়নস লিগের গেরো কাটাতে পারেনি, টানা চ্যাম্পিয়নস লিগে হয় আয়াক্স, নয় পোর্তো, কিংবা অলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। তাও এই ব্যথার প্রলেপ হিসেবে কাজ করেছিল সিরি ‘আ’র শিরোপা। এবার সেই স্বস্তিটুকুও জুভেন্টাসকে দিচ্ছে না ইন্টার। ১০ বছর পর রোনালদোর আমলেই জুভেন্টাস এমন এক রেকর্ড করে বসল, যার প্রত্যাশা তারা কস্মিনকালেও করেনি। ৩৩ ম্যাচ শেষে ইন্টারের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে তারা।

রোনালদোকে এনে তাহলে কী লাভ হলো জুভেন্টাসের?
ছবি: রয়টার্স

ফলে, গত ১০ বছরের মধ্যে প্রথম জুভেন্টাস ম্যানেজার হিসেবে লিগ হাতছাড়া করার ‘রেকর্ড’ গড়লেন দলটার সাবেক মিডফিল্ডার আন্দ্রেয়া পিরলো। তবে দলের এই দুর্দশাতেও নিজের চাকরি নিয়ে চিন্তা করছেন না পিরলো, ‘আমি সেদিন দলের মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এমন না যে এই মৌসুমে এই প্রথমবার মালিকের সঙ্গে কথা বললাম আমি, মৌসুমের বিভিন্ন সময়ে এর আগেও আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি আমার চাকরি নিয়ে চিন্তিত নই। আমি কী করব না করব, সেটা নিয়ে নিঃসন্দেহ। আমাকে নিয়ে চলতে থাকা গুঞ্জন নিয়ে আমি চিন্তা করি না।’