ছেলের গোল করা দেখেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি

আকের গোলের পর সিটির উচ্ছ্বাসছবি : রয়টার্স

তিনি ডিফেন্ডার। আসল কাজ গোল আটকানো। গোল আটকানোর পাশাপাশি যদি দুই-একটা গোলও করে বসেন, ততে দলেরই লাভ।


বলা হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটির ডাচ ডিফেন্ডার নাথান আকের কথা। বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনি জার্মান ক্লাব আর বি লাইপজিগের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথমেই গোল পেয়ে যান। দলও জিতেছে ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে।

তবে নিজের গোল করা, দলের জয় পাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারলেন কোথায়? ম্যাচ শেষেই শুনলেন বাবার মৃত্যুসংবাদ। জানলেন, তাঁর গোলের কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন তাঁর বাবা।


বর্তমান বিশ্বে অন্যতম বিরলপ্রজ সেন্টারব্যাকের একজন এই আকে। বাঁ পায়ে খেলেন সাধারণত, বল নিয়ে পেছন থেকে খেলা গড়ে দিতে দক্ষ এমন সেন্টারব্যাক আজকাল বলতে গেলে প্রায়। অধিকাংশই সেন্টার ব্যাকই ডান পায়ের। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্যই পেপ গার্দিওলার নজরে এসেছিলেন বছরখানেক আগে।

সতীর্থ ডি ব্রুইনার সঙ্গে
ছবি : রয়টার্স

বোর্নমাউথ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েই এই সেন্টারব্যাককে দলে এনেছিলেন গার্দিওলা। তবে রুবেন দিয়াস, জন স্টোনস, এমেরিক লাপোর্তদের কারণে সেভাবে মূল একাদশে জায়গা দিতে পারছিলেন না আকেকে।


চ্যাম্পিয়নস লিগে সেদিন একাদশে জায়গা পেলেন। বিশেষ মুহূর্তটা রাঙিয়েছেন গোল করেই। কিন্তু শেষমেশ বাবার মৃত্যুসংবাদ যেন সব অর্জনকেই ফিকে করে দিল আকের। আকে নিজেই ইনস্টাগ্রামে দুঃখের খবরটা জানিয়েছেন ভক্তদের, 'গত কয়েক সপ্তাহ আমার অনেক কষ্টে কেটেছে। আমার বাবা অনেক অসুস্থ ছিলেন, কোনো চিকিৎসাতেই কাজ হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে পরিবার, আমার বাগ্‌দত্তা, বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছি।'

নিজের গোল করার পরই বাবার মারা যাওয়ার বিষয়টাকে ভাগ্যের খেলা বলেই মনে হচ্ছে আকের কাছে, ‘কাল আমি আমার চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্যারিয়ারের প্রথম গোল করেছি। গোলের কিছুক্ষণ পরেই আমার ভাইকে পাশে রেখে আবার বাবা মারা যান। হয়তো এটাই লেখা ছিল ভাগ্যে। আমাকে খেলতে দেখে তিনি অনেক গর্ব অনুভব করতেন। বাবা আমি জানি আপনি সব সময় আমার সঙ্গে রয়েছেন, আপনি আমার হৃদয়ে থাকবেন আজীবন। এই গোলটা আপনার জন্য।’