জাতীয় দলের একজন মুম্বাইয়ে, আরেকজন যাবেন বেঙ্গালুরুতে

অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তপু বর্মণছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় দলের সহ–অধিনায়ক তপু বর্মণের একটি ছবি ঘুরছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন এই ডিফেন্ডার। আজ সকালে মুম্বাইয়ের ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে বিখ্যাত ডাক্তার দিনশো পার্দিওয়ালার অধীনে তপুর বাঁ পায়ের হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এতে এ মৌসুম শেষ হয়ে গেছে বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়কের। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে কমপক্ষে নয় মাস।

আগামী জুনে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। সেখানে শুধু তপু নন, তরুণ মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়কেও হয়তো পাওয়া যাবে না।

গত ৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতা কাপে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে ম্যাচে হাঁটুতে চোট পান তপু। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে পাঠানো হয় তাঁকে। দলের অধিনায়ককে সহায়তা করার জন্য ক্লাবের ফিজিও আবু সুফিয়ানকেও পাঠিয়েছে বসুন্ধরা। মুম্বাই থেকে তপুর চিকিৎসা সম্পর্কে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘হাঁটুর লিগামেন্ট পুরোপুরি ছিঁড়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচার ছিল বাধ্যতামূলক। প্রায় তিন ঘণ্টায় সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে সময় লাগবে কমপক্ষে নয় মাস।’

এর প্রভাব পড়বে জাতীয় দলেও। আগামী জুনে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। সেখানে শুধু তপু নন, তরুণ মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়কেও হয়তো পাওয়া যাবে না। তপু মুম্বাইয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আর বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন আবাহনী লিমিটেডের এই মিডফিল্ডার।

উন্নত চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুতে যাবেন জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয় (মাঝে)
ফাইল ছবি

স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে চোট পান হৃদয়। তাঁর চোটের ধরনটা একটু ভিন্ন। ডান পায়ের কাফ পেশিতে ‘পেরোনিল নার্ভ’–এর চোটে ভুগছেন তিনি। প্রথম আলোকে হৃদয় বলেন, ‘আমি যে চোটে পড়েছি, তার কোনো ভালো চিকিৎসা নেই বাংলাদেশে। তাই এই মাসের ২৬-২৭ তারিখে বেঙ্গালুরুতে যাব।’ অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নিয়েই সেখানে যেতে হচ্ছে হৃদয়কে। ক্লাবের ফিজিও শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বেঙ্গালুরুর এক নিউরোসার্জনের কাছে হৃদয়ের চোটের ভিডিও পাঠানো হয়েছিল। বলেছেন সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সে প্রস্তুতি নিয়েই বেঙ্গালুরু যাচ্ছি।’ ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফে খেলেই হৃদয়ের এই অবস্থা হয়েছে বলে মনে করেন আবাহনী লিমিটেডের কোচ মারিও লেমোস।

কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফ
ছবি: প্রথম আলো

ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফে খেলে বড় চোটের শেষ এখানেই নয়। তপুর মতো একই সমস্যায় ভুগছেন তাঁর সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জোনাথন ফার্নান্দেজ। তাঁকেও চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করাতে বলেছেন বলে জানান বসুন্ধরা ক্লাবের এক কর্তা। জোনাথনকেও এই মৌসুমে আর পাওয়া যাবে না বলে ধরে নিয়েছে ক্লাবটি। তপুর মতো এই ব্রাজিলিয়ানও চোট পেয়েছিলেন কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের টার্ফে বুটের স্পাইক আটকে যাওয়ায়। এ কারণে টার্ফে খেলার অনীহা প্রকাশ করে ফেডারেশন কাপ থেকেই নাম প্রত্যাহার করে নেয় বসুন্ধরা।