জাতীয় দলের ক্যাম্পে বসুন্ধরার ফুটবলাররা

২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন।ছবি: প্রথম আলো

সবুজ অনুশীলন জার্সিতে খেলোয়াড়দের উপস্থিতিতে গমগম করছিল কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের মাঠ। জাতীয় দলের অনুশীলনে আজ সকালেই যোগ দেন বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা। নেপালের বিপক্ষে আগামী মাসের দুই আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখেই এই অনুশীলন। বসুন্ধরার খেলোয়াড়েরা আসায় আজই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক খেলোয়াড় ছিলেন অনুশীলনে। তবে বসুন্ধরায় ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার তারিক রায়হান কাজী মাঠে নামেননি। আপাতত কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি।

আজ সকালেই খেলোয়াড়দের বিপটেস্ট নেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে ফুটবলহীন সময় কাটানো ফুটবলারদের ফিটনেসে ঘাটতি রয়েছে যথেষ্টই। বিপটেস্টে তাদের দৌড় সেটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। বসুন্ধরার খেলোয়াড়েরা আরও আগে অনুশীলন শুরু করেছিল ক্লাবের তত্ত্বাবধানে। কিন্তু তারাও যে অন্যদের চেয়ে ফিটনেসে এগিয়ে আছেন, সেটির প্রমাণ মেলেনি বিপটেস্টে।

বসুন্ধরার খেলোয়াড়দের ছাড়াই ২৪ অক্টোবর থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হয়। শুরু হয় অনুশীলন। সহকারী কোচ মাসুদ কায়সারের মতে, ‘বসুন্ধরা নিজস্ব উদ্যোগে আরও আগে থেকে অনুশীলন শুরু করলেও অন্য ক্লাবের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের ফিটনেসের মান তাদের কাছাকাছিই। নেপাল ম্যাচের আগেই সবার ফিটনেস একই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াটা আবশ্যিক। আজকের বিপটেস্টের ফল দেখেই পরের দুই সপ্তাহের অনুশীলন হবে।’

করোনা বিরতিতে খেলোয়াড়দের ফিটনেসে আছে ঘাটতি।
ছবি: প্রথম আলো

চোটের কারণে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের একটি ম্যাচেও খেলতে পারেননি তপু বর্মণ । এই বছর জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরা। এর পর তো করোনার কারণে ঘরোয়া ফুটবলও বন্ধ হয়ে যায়। অনেক দিন পর জাতীয় দলে অনুশীলন করতে পেরে খুশি বসুন্ধরার এই সেন্টারব্যাক। অনুশীলনে সবাইকে খুব ইতিবাচক মনে হয়েছে তপুর,‘আমার মনে হয় বিপ টেস্টে আমরা সবাই-ই ভালো দৌড়েছি। অনুশীলনে সবাই খুব সিরিয়াস ছিল, এটা খুবই ভালো বিষয়।’

জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল ৩৬ ফুটবলার। এর মধ্যে চোট থেকে ফিরে পুনর্বাসনে থাকার কারণে ক্যাম্পে যোগ দেবেন না বসুন্ধরার মাসুক মিয়া ও মতিন মিয়া। জামাল ভূঁইয়ার ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে আগামীকাল। একই দিনে ঢাকায় ফেরার কথা প্রধান কোচ জেমি ডের। তবে ঢাকায় ফিরেই অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন না তাঁরা। তারিকের মতো কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাঁদেরও।