জামালকে নিয়ে কাঠমান্ডু রওনা দিলেন সালাউদ্দিন

আজ বিমানবন্দরে কাজী সালাউদ্দিন ও জামাল ভূঁইয়া।ছবি: প্রথম আলো

আগামীকাল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হতে যাচ্ছে তিন জাতি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রতিপক্ষ কিরগিজস্তান অলিম্পিক দল। দশরথ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় পৌনে ৬টায়।

কলকাতা মোহামেডানের হয়ে ভারতের আই লিগে খেলার জন্য এখনো দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ১৯ মার্চ ঢাকা ফিরে আজ দলের সঙ্গে যোগ দিতে কাঠমান্ডু যাচ্ছেন তিনি। দলের খেলা দেখতে একই ফ্লাইটে কাঠমান্ডু যাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও।

টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র এক দিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে জামাল মানিয়ে নিতে পারবেন কি? প্রশ্নটা থেকেই যায়। তবে বাফুফে সভাপতির কাছে ব্যাপারটাকে তেমন বড় কিছু মনে হয়নি। প্রশ্নের উত্তরে জামালের পেশাদারত্বের কথাটাই তুলে ধরেছেন কাজী সালাউদ্দিন, ‘সে পেশাদার ফুটবলার। অল্প সময়ে মানিয়ে নেওয়াটা কোনো ব্যাপার না ওর কাছে। আগামীকালের ম্যাচ সে খেলতেও পারে।’

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন
ছবি: প্রথম আলো

সভাপতির কথায় বিমানবন্দরে পাশে বসে সায় দিলেন জামালও। প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলার ইচ্ছা তাঁর। তবে কোচ যদি মাত্র এক দিনের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট না হয়ে জামালকে খেলাতে না চান, তাতেও আপত্তি নেই সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সবচেয়ে বড় এই তারকার। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। আজ দলের সঙ্গে অনুশীলন করব। এরপর কোচের সিদ্ধান্ত।’

তবে নেপাল সফরের আগে সম্ভাব্য এই প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে আগেও কথা বলেছিলেন সদ্য কলকাতা মোহামেডানের হয়ে আই লিগ খেলে ফেরা জামাল। সেবার নেপাল সফরকে সামনে রেখে দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামাল গুরুত্ব দিয়েছিলেন সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর রসায়নকে। বলেছিলেন, ‘একটু কঠিন হবে। তবে আমি তো আমাদের খেলোয়াড়দের চিনি। নিজে খেলার মধ্যে থাকায় ভালো অবস্থানে আছি। তাই মানিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। আমার হয়তো প্রথম ম্যাচটা খেলা হবে না। অবশ্য এ বিষয়ে কোচই ভালো বলতে পারবেন।’

আজ নেপাল গেলেন জামাল।
ছবি: প্রথম আলো

তিন দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তান ছাড়া অন্য দলটি স্বাগতিক নেপাল। ২৭ মার্চ দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জামাল ভূঁইয়াদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিকেরা। একে অপরের বিপক্ষে খেলা সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি দল খেলবে ২৯ মার্চ ফাইনালে।

কোচ জেমি ডে এই টুর্নামেন্টকে নিয়েছেন নতুন খেলোয়াড় পরখ করে দেখার উপলক্ষ হিসেবে। ওদিকে খেলোয়াড়দের আশা আরও বড়। তাঁরা জিততে চান শিরোপা। খেলোয়াড়-কোচ, উভয়ের লক্ষ্য মিলে গেলেই সোনায় সোহাগা। আর সে লক্ষ্যে জামালের মতো কার্যকরী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার নিঃসন্দেহে অন্যতম বড় অস্ত্র বাংলাদেশের।