জার্মানিকে চার গোল দেওয়া ব্রাজিল এবার গোলই পেল না

জার্মানির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা রিচার্লিসন আজ আলো ছড়াতে পারেননিছবি: ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন

আগের ম্যাচেই জার্মানিকে বলতে গেলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। চার গোল করেছে, আক্রমণে আক্রমণেও ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল জার্মানদের, শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছে ৪-২ গোলে। অলিম্পিকে ছেলেদের ফুটবলের গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ যখন প্রতিপক্ষ হয়ে এল আইভরি কোস্ট, আরেকবার ব্রাজিলের গোল-উৎসবই হয়তো আশা করেছিলেন ব্রাজিলের সমর্থকেরা।

কিন্তু তা আর হলো কই! ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামে আজ ১৩ মিনিটেই ব্রাজিলের মিডফিল্ডার দগলাস লুইজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন, বাকি সময়ে ফুটবল আর ব্রাজিলিয়ান সৌরভ তেমন ছড়াল না। তবে ১০ জনের দল নিয়েও লড়েছে ব্রাজিল, শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়ে ফিরেছে।

গ্রুপে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে অবশ্য শেষ ষোলোয় ওঠার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে দানি আলভেজের নেতৃত্বে অলিম্পিকে যাওয়া ব্রাজিল। আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায় সৌদি আরবের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নামবে ব্রাজিল।

এই মুহূর্তে সৌদি আরব গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলছে জার্মানির বিপক্ষে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইভরি কোস্টের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় সৌদি আরব। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট আইভরি কোস্টেরও।

গ্রুপের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল তাই জয় নিয়ে হয়তো খুব বেশি শঙ্কায় থাকবে না, তবে আজ আইভরি কোস্টের বিপক্ষে ম্যাচটা বুঝিয়ে দিল, একেবারে বলেকয়ে জিতবে ধরে নেওয়াও হয়তো ঠিক হবে না। অবশ্য ১৩ মিনিটে দগলাস লুইজ লাল কার্ড না দেখলে ম্যাচটা হয়তো অন্য রকমই হতো!

বল নিয়ে ছুটছেন ব্রুনো গিমারেস।
ছবি: ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন

৪-৫-১ ছকে ব্রাজিলের স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন রিচার্লিসন। তাঁর পেছনে তিন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে ছিলেন মাতেউস কুনিয়া, আন্তোনি ও ক্লদিনিও। তাঁদের পেছনে মাঝমাঠে দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ছিলেন দগলাস লুইজ ও ব্রুনো গিমারেস।

আর রক্ষণে রাইটব্যাক হিসেবে দানি আলভেজ তো ছিলেনই, দুই সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলেছেন দিয়েগো কার্লোস ও নিনো। লেফটব্যাক ছিলেন গিলের্মে আরানা। আর গোলকিপার হিসেবে খেলেছেন সান্তোস।

আরও পড়ুন

শুরুতে ম্যাচটা ব্রাজিলের আক্রমণ বনাম আইভরি কোস্টের রক্ষণই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ১৩ মিনিটে লুইজের লাল কার্ডেই সব বদল। এরপর ১০ জনের ব্রাজিলের বিপক্ষে বলের দখল আইভরি কোস্টেরই বেশি ছিল। ব্রাজিল গোলকিপার সান্তোসের বেশ কবার পরীক্ষাও নিয়েছে আফ্রিকান দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ব্রাজিল গুছিয়ে নিয়েছে, রক্ষণ ও মাঝমাঠ আঁটসাঁট রেখে পাল্টা আক্রমণে গোল করার চেষ্টা করেছে।

সুযোগও এসেছিল ব্রাজিলের। ৫৬ মিনিটে মাতেউস কুনিয়া ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি বলে গোল হয়নি। পাঁচ মিনিট পর হেড ঠিকই করেছেন কুনিয়া, কিন্তু তা ছিল আইভরি কোস্টের গোলকিপারের গায়ের দিকে।

দানি আলভেজের নেতৃত্বে মাঠে নামা ব্রাজিল দলে তারকার কমতি নেই।
ছবি: ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন

এর মধ্যে ৮০ মিনিটে আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার এবু কাউয়াসি লাল কার্ড দেখেন। ব্রাজিল তাই শেষ দিকে আবার জয়ের জন্য ঝাঁপিয়েছে। আক্রমণভাগে রিচার্লিসনের বদলে পাওলিনিও আর আন্তোনির বদলে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিকে নামিয়ে গোলের চেষ্টা করেছিলেন ব্রাজিল কোচ আন্দ্রে জার্দিন। কিন্তু ভাগ্যে বদল হয়নি।

যোগ করা সময়ে অবশ্য দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ব্রাজিল উইঙ্গার মালকম। মার্তিনেল্লির ক্রসে গোলের সুযোগ তৈরি হলেও মালকমের হেড যায় পোস্টের বাইরে।