জেতার জন্য করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড়দের নামানোর অভিযোগ

জ্যামাইকাকে হারিয়েছে কোস্টারিকাছবি: টুইটার

বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে বাঁচা–মরার ম্যাচ ছিল জ্যামাইকা ও কোস্টারিকার। কনকাকাফ অঞ্চলে শীর্ষ তিন দলের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ আছে। চতুর্থ দলটির সুযোগ থাকবে প্লে-অফ খেলে কাতার বিশ্বকাপে যাওয়ার। জ্যামাইকার বিপক্ষে গতকাল কোস্টারিকার লক্ষ্য ছিল ৩ পয়েন্ট পেয়ে সেরা তিনের দৌড়ে টিকে থাকার। ওদিকে কাগজে-কলমে হলেও প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে কাল জিততেই হতো জ্যামাইকাকেও।

ঘরের মাঠে কাল কাঙ্ক্ষিত জয় পায়নি জ্যামাইকা। বাছাইপর্বের শুরুতে শীর্ষ পাঁচ দলের একটি ছিল জ্যামাইকা, কিন্তু কালকের হারের পর তিন ম্যাচ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে কাতার বিশ্বকাপে জায়গা হচ্ছে না জ্যামাইকার। ওদিকে স্বাগতিকদের হারিয়ে এখনো বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন কেইলর নাভাসরা। হারের পর প্রতিপক্ষ নিয়ে বড় অভিযোগ তুলেছে জ্যামাইকা। তাদের দাবি, করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড় নিয়েই নেমেছিল কোস্টারিকা!

গোলের পর জোয়েল ক্যাম্পবেল
ছবি: টুইটার

গতকাল বলের দখল, পাস কিংবা শট নেওয়া—সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল জ্যামাইকা। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করেছেন কোস্টারিকার জোয়েল ক্যাম্পবেল। সাবেক আর্সেনাল স্ট্রাইকারের ৬২ মিনিটের গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক হয়ে ওঠে। ম্যাচ শেষে জ্যামাইকা ফেডারেশনের চিকিৎসা কমিটির প্রধান গাইয়ান আরস্কট অভিযোগ করেছেন, কোস্টারিকা বহরে ছয়জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন।

দ্য ক্লিনারের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, ছয় কোস্টারিকান কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন। তিনজন খেলোয়াড় আর বাকি তিনজন দলের অন্য কর্মী।’ আরস্কট দাবি করেছেন, ‘ছয়জন আক্রান্ত হলেও মাত্র একজনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।’

মহাগুরুত্বপূর্ণ এক গোলের আনন্দ
ছবি: টুইটার

আরস্কট বলছেন, কোস্টারিকা মিথ্যা কথা বলেছে ফুটবলারদের ব্যাপারে, ‘ওরা ১৪ দিন আগে করোনা পজিটিভ হয়েছে। আমাদের বলেছে তারা কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন করেছে এবং কোস্টারিকা ছাড়ার আগে নেগেটিভ হয়েছে। কিন্তু জ্যামাইকায় ঢোকার পর আমাদের ল্যাবে পজিটিভ হয়েছে তারা।’

জ্যামাইকা ফুটবল ফেডারেশনের সচিব ডাল্টন উইন্ট ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। উইন্ট বলেছেন, এ ব্যাপারে ফিফার আইন কী সেটা বোঝার চেষ্টা করছেন, ‘আমি জানি না কোন ব্যাপারে আবেদন করব। কিন্তু আমি নিশ্চিত ফিফার কাছে কিছু পাঠাব—কেন এমন কিছু হলো। কারণ, এটা তো আইনের পুরোপুরি লঙ্ঘন।’

যদিও কোস্টারিকান ফুটবল ফেডারেশন এ অভিযোগ মানছে না। তারা বলছে, করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড়দের নামানো হয়নি।