নেপাল থেকে ফিরতেই হচ্ছে বিশ্বনাথকে

চোটে পড়ে নেপাল সফর শেষ বিশ্বনাথেরছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া

নেপালে চলতে থাকা তিন জাতি টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কিরগিজস্তানের অনূর্ধ্ব-২৩–এর বিপক্ষে জিতে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। জয়ের আনন্দে এখন বেশ ফুরফুরেই থাকার কথা বাংলাদেশ জাতীয় দলের। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে কোথায়? জয়ের আনন্দের মধ্যেও বেজে উঠেছে বিষাদের বিউগল। গতকাল কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ঊরুর সামনের অংশে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন দলের রাইটব্যাক, বসুন্ধরা কিংসের বিশ্বনাথ ঘোষ। তখনো চোটের মাত্রা অতটা বোঝা যায়নি, যা বোঝা গেল আজ। নেপাল থেকে দেশেই ফিরে আসতে হচ্ছে তাঁকে।

রাইটব্যাকে এবার কাকে খেলাবেন জেমি ডে?
ছবি: বাফুফে

কাল চোটের পর থেকে হাঁটাচলা করতেই অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। আজ রীতিমতো হুইলচেয়ারে বসিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে এমআরআই করতে। জানা গেছে বসুন্ধরা কিংসের এই রাইটব্যাকের চোটের মাত্রাটা। দলের ম্ওযানেজার ইকবাল হোসেনের আশা অবশ্য ছিল তাঁর চোট অতটা গুরুতর হবে না। কিন্তু তাঁকে ভুল প্রমাণ করেছে এমআরআই রিপোর্ট।

কাল ম্যাচের ৭০ মিনিটে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে বের হয়ে যান রাইটব্যাক বিশ্বনাথ। তাঁর জায়গায় বদলি হিসেবে নামানো হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের লেফটব্যাক ইয়াসিন আরাফাতকে। মাঠে আগে থেকেই খেলছিলেন আরেক লেফটব্যাক, বসুন্ধরা কিংসের তরুণ রিমন হোসেন। স্বাভাবিকভাবেই মাঠে থাকা দুই লেফটব্যাকের মধ্যে একজনকে জায়গা পরিবর্তন করে চলে যেতে হয় ডান দিকে। সেই জায়গা পরিবর্তন করেন রিমন। ইয়াসিন আরাফাত খেলতে থাকেন বাঁ দিকে।

কিরগিজস্তানের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে গতকাল নেপালে ১-০ গোলের জয় পেয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবল দল।
ছবি : প্রথম আলো

আপাতদৃষ্টিতে বিশ্বনাথের চোটটা গুরুতর মনে করছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু গুরুতর হলে তাঁর বিকল্প পেতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডেকে। কারণ, করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া হয়নি অন্য রাইটব্যাক, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের রহমত মিয়ার। যদিও পরে তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। তাও তাঁকে কাঠমান্ডু ডেকে নেননি বাংলাদেশের কোচ। অবশ্য জেমিকে ভরসা দিতে পারেন রিমন। কাল বিশ্বনাথ উঠে যাওয়ার পর রাইটব্যাক হিসেবেও ভালো খেলেছেন এই তরুণ। অভিষেক ম্যাচেই পুরো সময় খেলেছেন তিনি।

কালকের জয়ে ফাইনালে প্রায় এক পা দিয়েই রেখেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল কিরগিজস্তানের বিপক্ষে নেপাল না হারলেই ফাইনালে চলে যাবেন জামাল ভূঁইয়ারা। অবশ্য কালকের ম্যাচের দিকে না তাকিয়ে থাকলেও তো হচ্ছে। ২৭ মার্চ স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে নিজেরা না হারলেও ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত।