জেল খাটতে হবে বুন্দেসলিগার ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়কে

বায়ার্ন তারকা লুকাস হার্নান্দেজ এবং তাঁর স্ত্রী আমেলিয়াছবি: টুইটার

স্ত্রীর প্রতি সহিংস আচরণের জন্য দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন লুকাস হার্নান্দেজ। কিন্তু আদালতের নির্দেশ তিনি মানেননি। এ কারণে মাদ্রিদের আদালত কাল বায়ার্ন মিউনিখের এই ফরাসি ডিফেন্ডারকে ছয় মাস কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১৯ সালে বায়ার্নে যোগ দেওয়ার আগে পাঁচ মৌসুম আতলেতিকো মাদ্রিদে খেলেছেন হার্নান্দেজ। ২০১৭ সালে বান্ধবী আমেলিয়া ইয়োরেন্তের সঙ্গে সহিংস আচরণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

পরে অবশ্য আমেলিয়াকে বিয়ে করেন ২৫ বছর বয়সী এ ডিফেন্ডার। ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এ ফুটবলারকে আগামী মঙ্গলবার অবশ্যই মাদ্রিদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আপিল করেছেন হার্নান্দেজ। ‘স্বেচ্ছায়’ কারাগারে যেতে ১৯ অক্টোবর থেকে ১০ দিন সময় পাবেন তিনি।

স্পেনের আইন অনুযায়ী, সাজার মেয়াদ দুই বছরের কম হলে জেলে যেতে হয় না। কিন্তু হার্নান্দেজের বিষয়টি আলাদা। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করায় তাঁকে কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চার বছর আগে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন হার্নান্দেজ। বান্ধবীর সঙ্গে সহিংস আচরণ করায় তাঁর ৫০০ মিটারের মধ্যে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

সে বছর (২০১৭) ফেব্রুয়ারিতে এ জুটির মধ্যে হাতাহাতি হওয়ায় আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল আমেলিয়াকে। তবে কেউ কারও বিরুদ্ধে তখন অভিযোগ করেননি। কিন্তু স্পেনের সরকারি কৌঁসুলি অভিযোগ দাখিল করেছিলেন দুজনের বিরুদ্ধেই।

তারপর এ জুটিকে আলাদা থেকে ৩১ দিন জনসেবামূলক কাজের নির্দেশ দেন আদালত। ছয় মাস কেউ কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না, এমন নির্দেশও হয় আদালতের পক্ষ থেকে। যদিও এর চার মাস পর মাদ্রিদ বিমানবন্দরে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা যাওয়ায় হার্নান্দেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ে করে মাদ্রিদে ফিরেছিলেন এই জুটি। আমেলিয়ার প্রতি হার্নান্দেজের থেকে দূরে থাকার বাধ্যবাধকতা না থাকায় তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ২০১৯ সালে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার এ ঘটনায় হার্নান্দেজকে ছয় মাস কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।

ফ্রান্সের হয়ে কিছুদিন আগে নেশনস লিগজয়ী হার্নান্দেজ বুন্দেসলিগার ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ফুটবলার। ২০১৯ সালে আতলেতিকো থেকে তাঁকে ৮ কোটি ইউরোয় কেনে বায়ার্ন।